জেনে নিন বিয়ের ক্ষেত্রে বিপদসংকেত কোনগুলো!
বিয়ে মানেই উৎসব উৎসব একটা আমেজ চারদিকে। অতিথিদের আগমনে পুরো বাড়ি সরগরম। কেনাকাটার ধুম। মজার সব খাবারের আয়োজন। বাঙালির বিয়ের চিত্রটাই এমন। এরই মাঝে মিশে থাকে দুশ্চিন্তাও। নতুন সম্পর্ক, নতুন পরিবেশ নিয়ে বর-কনে দুজনের মনেই নানা দুশ্চিন্তা বাসা বাঁধে। সমস্ত হৈ-হুল্লোড়ের ভিড়ে আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায় কিছু বিষয়। অথচ সেগুলোই হয়ে উঠতে পারে বিয়ের জন্য বিপদসংকেত! চলুন জেনে নেয়া যাক-
আরও পড়ুন: স্বামী প্রতারণা করেছে? এখন কী করবেন?
বিয়ে মানে শুধু মানুষেরই নয়, দুটি পরিবারেরও বন্ধন। কিন্তু এই দুটি পরিবারেরই যদি পারস্পারিক কোনো বিরোধ থাকে তবে তা মিমাংসা না করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেবেন না যেন! হোক তা নিতান্তই ছোট কোনো বিষয় নিয়ে বিরোধ। কারণ তা রেখে দিলে বিয়ের পরবর্তীতে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
দুটি মানুষ মানেই ভিন্ন ভিন্ন মত। কিছু বিষয়ে একমত হবেন আবার কিছু বিষয়ে মতের অমিল হবে এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু সারাক্ষণ আপনাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকলে তা মোটেই ভালো কথা নয়। অনেকেই ভাবেন বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু উল্টোটাই হয় বেশি। তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিশ্লেষণ করে দেখুন, কেন কথায় কথায় আপনাদের মতবিরোধ হচ্ছে। সেসব সমস্যার সমাধান না খুঁজে বিয়ের পথে যাবেন না।
আপনাদের দুজনের শারীরিক চাহিদা ও প্রত্যাশার মধে যদি মিল না থাকে, তা হলে বিবাহিত জীবনে বড়সড় সমস্যা দেখা দেওয়াটাই স্বাভাবিক। সম্বন্ধ করে বিয়েতে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়, কারণ পাত্রপাত্রী পরস্পরের অপরিচিত হওয়ায় তারা নিজেদের শারীরিক চাওয়া-পাওয়ার বিষয়গুলো স্পষ্ট করতে পারেন না। তাই একদম শুরুতেই চেষ্টা করুন একে অন্যের ভালোলাগা- মন্দলাগাগুলো বুঝতে।
আপনার হবু স্বামী কি কথায় কথায় প্রচণ্ড রেগে যান বা অল্পেতেই মারকুটে হয়ে ওঠেন? তেমন বুঝলে পিছিয়ে আসুন এখনই। কারণ আজ না হলেও কাল তার রাগের মুখে আপনাকে পড়তে হবেই। সম্পর্কে নির্যাতন বা মারধর একবার ঢুকে গেলে তার উন্নতি হওয়া খুব কঠিন।
আরও পড়ুন: বসের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়
হবু সঙ্গীর কি ব্যক্তিত্বে সমস্যা আছে বলে আপনার মনে হয়েছে? যদি তিনি নিজে থেকেই কোনো ধরনের মানসিক সমস্যার কথা স্বীকার করেন, তখন আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সারাজীবন এই চাপ আপনি নিতে রাজি কিনা।
এইচএন/এমএস