যেভাবে ব্রাশ করলে দাঁতের ক্ষতি হয়
সুন্দর হাসি মুহূর্তেই ভুলিয়ে দিতে পারে অনেককিছুই। এই সুন্দর হাসির জন্য প্রয়োজন সুস্থ আর ঝকঝকে দাঁত। আর সেজন্য যে প্রতিদিন নিয়ম করে দাঁত ব্রাশ করতে হবে সেকথা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। দাঁতের যত্নে আমরা সবাই সচেতন। কিন্তু এই সচেতনতা ভুল উপায়ে হচ্ছে না তো? যত্ন নিতে গিয়ে উল্টো ক্ষতি না হয়ে যায়! মিলিয়ে দেখুন তো, এই ভুলগুলো আপনিও করছিলেন কি না-
আরও পড়ুন: যেসব সবজি খেলে তাড়াতাড়ি লম্বা হবেন
বেশিক্ষণ ব্রাশ করলে ভালোভাবে দাঁত পরিষ্কার হয়, এমনটাই ভাবেন কি? তা হলে সে ভাবনা ভুল। চিকিৎসকদের মতে, মিনিট দুয়েকের বেশি সময় ধরে একটানা ব্রাশ করে যাওয়া দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
খাওয়ার পরই দাঁত মাজলে তা অনেক সময় ক্ষতি করে। কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন সেটা আগে ভাবুন। ফল বা অম্লজাতীয় খাবার খাওয়ার পর দাঁত মাজলে দাঁতের ক্ষয় হয় দ্রুত। তাই এ সব খেয়ে খানিক অপেক্ষা করুন। বরং ভালো করে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নেয়াই যথেষ্ট।
ব্রাশ কেনার সময় নজর রাখুন ব্রাশের ধরন কেমন, খুব শক্ত বা খুব নরম কোনো ব্রাশই দাঁতের উপযোগী নয়। বরং দাঁতের এনামেলের জন্য উপকারী এমন ব্রাশ কিনুন। ব্র্যান্ডে না ভুলে কেনার আগে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।
প্রত্যেকেরই দাঁতের ধরন আলাদা। দাঁতের রকমফের বুঝে টুথপেস্ট বাছুন। এক্ষেত্রেও বিজ্ঞাপনী চমক বা ব্র্যান্ডে না ভুলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন: গরমে ডাবের পানি খেলে কী হয়?
অনেকেরই ধারণা খুব জোরে ব্রাশ করলেই বোধ হয় দাঁত ভালো করে পরিষ্কার হয়। কিন্তু আদতে এর উল্টোটা ঘটে। দাঁতের এনামেলের খুব ক্ষতি হয় অত্যধিক চাপে। মাঝারি চাপে ব্রাশ করার অভ্যাস করলে দেখবেন, দাঁত ঝকঝকেও হবে সঙ্গে এনামেলেরও আর ক্ষতি হবে না।
এইচএন/জেআইএম