প্রতিদিন রসুন কেন খাবেন?
আমাদের প্রতিদিনের কোনো না কোনো রান্নায় রসুনের ব্যবহার থাকেই। আর এই রসুন শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। রসুনে উপস্থিত অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান মাথার চুল থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কাজে আসে। একারণেই চিকিৎসকেরা প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পেটে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে যদি এমনটা করতে না পারেন, তাহলেও ক্ষতি নেই। কারণ আমাদের নানা পদে রসুন তো থাকেই।
আরও পড়ুন: খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না
রসুনে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের কারণে শরীরে নানারকম নিউরোডিজেনারেটিভ অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
হজম ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত রসুন খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন হজমের উন্নতি ঘটতে সময় লাগবে না। রসুনে উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান স্টমাকের ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে বদ-হজম এবং নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমে চোখের নিমেষে।
যারা প্রায় সময়েই সর্দি-কাশিতে ভুগে থাকেন তারা আজ থেকেই দুই কোয়া রসুন অথবা গার্লিক টি খাওয়া শুরু করুন। তাহলেই দেখবেন আর কোনোদিন এমন ধরনের শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে না। কারণ রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে খুব শক্তিশালী বানিয়ে দেয়। ফলে ভাইরাসদের আক্রমণে শরীরের কাহিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে।
৭০০০ বছর ধরে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে। এতে উপস্থিত একাধিক কার্যকরী উপাদান ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাসসহ একাধিক জীবাণুর সংক্রমণ আটকাতে যেকোনো আধুনিক মেডিসিনের থেকে তাড়াতাড়ি কাজে আসে। তাইতো প্রতিদিন ১-২ কোয়া রসুন খেলে এমন ধরনের সব রোগের খপ্পরে পরার কোনো সম্ভাবনাই থাকে না।
রসুনের মধ্যে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ সালফার রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শরীরে সালফারের ঘাটতি দেখা দিলে রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে। একারণেই শরীরে সালফারের ঘাটতি মেটাতে নিয়মিত এক কোয়া করে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান বা টক্সিনের কারণে ত্বকের যাতে কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে রসুন। সেইসঙ্গে কোলাজিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখার মধ্য় দিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। অন্যদিকে প্রায় প্রতিদিন যদি থেঁতো করা রসুন চুলে লাগানো যায়, তাহল দারুণ উপকার মেলে।
আরও পড়ুন: বাতের ব্যথা কমাবে মাখন
প্রতিদিন একগ্লাস গরম পানির সঙ্গে দুটো রসুনের কোয়া খেলে রক্তে থাকা নানা বিষাক্ত উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে ত্বক এবং শরীর উভয়ই চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
এইচএন/জেআইএম