সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে কী হয়?
সানস্ক্রিন ছাড়াই রোদে ঘুরে বেড়ানোর অভ্যাস থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছেন অনেকেই। সানস্ক্রিন শুধু যে ত্বকের রোদে পুড়ে যাওয়া রোধ করে তা নয়, এটি ত্বকের নানা অসুখ থেকেও দূরে রাখে।
আরও পড়ুন: মেকআপের যেসব ভুলে ত্বকের ক্ষতি হয়
আমাদের ত্বকে একধরনের পিগমেন্ট থাকে, যাকে মেলামিন বলে। সূর্যের রশ্মি থেকে এই মেলামিন আমাদের ত্বককে সুরক্ষা দেয়, কিন্তু এটা গাঢ় রঙের হওয়ায় রোদের সংস্পর্শে ত্বকের রং কালো হতে শুরু করে।
সূর্যের তাপে ইউভি-এ ও ইউভি-বি এ দুই ধরনের রশ্মি থাকে। ইউভি-এ ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ সৃষ্টি করে আর ইউভি-বি ত্বকে পোড়া দাগের সৃষ্টি করে। এই দুই ধরনের রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবে ত্বকে অকাল বার্ধক্য ছাড়াও ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। এর হাত থেকে রেহাই পেতে হলে চাই সানস্ক্রিন।
সানস্ক্রিন হলো এমন একটি আবরণ, যা ত্বকের ওপর লাগানো থাকলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা যায়।
সানস্ক্রিন ত্বককে শুধু সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকেই রক্ষা করে না, একইসঙ্গে ত্বকের গভীরে ধুলাবালি প্রবেশেও বাধা দেয়। এর ব্যবহারে ত্বকের বলিরেখাও কমে যায়।
প্রখর সূর্যালোক আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। আকাশ মেঘলা থাকলেও প্রতিদিন বাইরে যাওয়ার আগে ব্যবহার করতে হবে।
বাইরে যাওয়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে ত্বকের খোলা অংশে, বিশেষ করে হাত, পা, মুখমণ্ডল, গলা, ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। ঠোঁটেও সানস্ক্রিন লিপবাম লাগিয়ে নিন। অনেকক্ষণ বাইরে থাকতে হলে ২/৩ ঘণ্টা পরপর পুনরায় ব্যবহার করুন। মেকআপ করতে চাইলে আগে সানব্লক লাগিয়ে নিন, তার ২০ মিনিট পর মেকআপ বা অন্য প্রসাধনী ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন: বিয়ের পরে ওজন বেড়ে গেলে যা করবেন
বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের সানস্ক্রিন পাওয়া যায়। তবে সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে আপনার ত্বকের ধরন বুঝে নিন।
এইচএন/পিআর