মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে কী করবেন?
দাঁত ব্রাশ করার সময় কিংবা শক্ত ধরণের কোনো খাবার খাওয়ার সময় অনেকেরই মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যাটি লক্ষ্য করা যায়। দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার বিষয়টি কখনওই অবহেলা করা উচিত নয়। কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব এই সমস্যা থেকে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
আরও পড়ুন: একটানা বসে কাজ করলে শরীরের যেসব ক্ষতি হয়
হালকা গরম পানির সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে নিন। এ বার এই লবণ-পানি দিয়ে দিনে অন্তত তিন-চার বার কুলি করুন। এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি খুব সহজ এবং কার্যকরী। এতে দাঁতের ব্যথায় এবং মাড়ির রক্তক্ষরণে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
মাড়ির রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে গ্রিন টি খুবই কার্যকর। গ্রিন টি দিয়ে কিছুক্ষণ কুলি করুন। এটি মাড়িকে জীবাণুমুক্ত করতে সাহায্য করে। তাছাড়া এর সাহায্যে মাড়ির রক্তক্ষরণও দ্রুত বন্ধ হয়।
লবঙ্গের তেল মাড়ির ব্যথা কমিয়ে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। সামান্য লবঙ্গের তেল মাড়িতে লাগালেই উপকার মিলবে। এছাড়াও একটি বা দুটি লবঙ্গ মুখে রাখলেও উপকার পাওয়া যায়। লবঙ্গ মাড়ির রক্তক্ষরণ বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ কাটাতেও সাহায্য করে।
মাড়ির রক্তক্ষরণ বেশি হলে এক টুকরো তুলা বা গজ বরফ ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে মাড়ির ওই ক্ষত জায়গাটায় চেপে ধরুন। এতে প্রাথমিকভাবে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে।
মধুর অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া সমস্যার সমাধান করতে পারে। দাঁত ব্রাশ করার পর আঙুলের ডগায় একটু মধু নিয়ে তা দিয়ে দাঁতের মাড়ি অল্প ম্যাসেজ করে নিন। তবে লক্ষ রাখবেন, দাঁতের মাড়িতেই মধু ম্যাসেজ করুন। দাঁতে মধু লাগাবেন না। এতে দাঁতে ক্যাভিটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সামান্য গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এরবার এই পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজুন। বেকিং সোডা মুখের ভেতরের অ্যাসিড নিষ্ক্রিয় করে দেয় ফলে দাঁত ক্ষয় হওয়ার সমস্যা দূর হয় এবং সেই সাথে মাড়ির সমস্যাও।
আরও পড়ুন: যেসব কারণে অকাল গর্ভপাত হতে পারে
লেবুর রস ও লবণ মিশিয়ে নিন। এর পর তা আঙুলের মাথায় লাগিয়ে তা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে ৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর সামান্য উষ্ণ পানিতে কুলি করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিমেষেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
মাড়ি থেকে বারবার অতিরিক্ত মাত্রায় রক্তক্ষরণ এবং সেই সঙ্গে অন্যান্য সমস্যা দেখা দিলে (যেমন, জ্বর, অস্বাভাবিক হারে ওজন হ্রাস বা শরীরের অন্যান্য জায়গা থেকেও রক্তক্ষরণ) অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এইচএন/পিআর