যেসব খাবার হতাশা বাড়ায়
সারাদিন হইচই করে কাটালেন। কিন্তু দিনশেষে একা হলেই ঘিরে ধরে বিষণ্নতা? অথবা অনেক লোকের ভিড়েও নিজেকে একা লাগে? এর কারণ যে সবসময় আপনার মানসিক চাপ, এমন কিন্তু নয়। কখনো কখনো আমাদের খাবারের তালিকায় থাকা প্রিয় খাবারগুলোও এর কারণ হতে পারে। বিষণ্নতা এড়িয়ে চনমনে থাকতে চাইলে কিছু খাবার বাদ দিতে হবে তালিকা থেকে।
আরও পড়ুন: আক্কেল দাঁত ব্যথা হলে কী করবেন?
বেশিরভাগ ক্যান বন্দি খাবারেই বিপিএ থাকে। বিপিএ মস্তিষ্কের স্নায়ুতে প্রভাব বিস্তার করে তাকে নিস্তেজ করে দিতে পারে। তাই এড়িয়ে চলুন সে সব।
চিনিতে থাকা গ্লুকোজ শরীরের গ্লাইকোজেনের মাত্রা বাড়ানোর সঙ্গে বাড়িয়ে দিতে পারে হতাশাও। সাময়িক উত্তেজনা বাড়াতে চিনি অনেক সময় দরকারি হয়ে পড়লেও সেই উত্তেজনার সময় পার হলেই তা পেশীকে ক্লান্ত করে তোলে। যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন চিনি।
কোল্ড ড্রিঙ্কসে থাকা সোডাও ডেকে আনতে পারে বিষণ্নতা। এমনিতেই ঠান্ডা পানীয় শরীরে প্রবেশ করে পানির চাহিদা বাড়িয়ে তোলে, তার সঙ্গে এতে থাকা সরল শর্করা শরীরের মধ্যে পানির অভাব ঘটিয়ে তাকে করে তোলে ক্লান্ত। যার প্রভাব পডে় মনের উপরও। তাই শুধু ওবেসিটির ভয় থেকেই নয়, হতাশা কাটাতেও দূরে থাকুন এর থেকেও।
মনখারাপ হলে অ্যালকোহলের শরণ নিয়ে থাকেন? তা হলে আজই বাদ দিন সে স্বভাব। সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে আপনাকে তা আরাম দিলেও পরক্ষণেই শরীরের মধ্যে গিয়ে ভেঙে কিছু অক্সালিক অ্যাসিড তৈরি করে যা দ্রুত পেশীক্লান্তি ঘটায়।
প্যাকেটবন্দি নোনতা বাদামও এড়িয়ে চলুন। এতে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম থাকে, যা শরীরের ভিতর ভেঙে মোনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি) তৈরি করে। যা শরীরকে ভারী করার সঙ্গে ক্লান্ত করে, তার হাত ধরেই আসে হাতাশা। তাই বাদাম খেলে চেষ্টা করুন বাড়িতে শুকনো খেলায় ভেজে, লবণ ছাড়া খেতে।
আরও পড়ুন: বর্ষায় পেটে সমস্যা হলে যা করবেন
প্যাকেটে দীর্ঘদিন ফলের রস তাজা রাখতে এতে অতিরিক্ত চিনি তো মেশেই, সঙ্গে মেশানো হয় নানা রাসায়নিক- যারা চর্মরোগের জন্যও দায়ী। এরাই স্নায়ুকে ক্লান্ত করে। তাই ফলের উপকারিতা পেতে আস্থা রাখুন টাটকা গোটা ফলে।
এইচএন/এমএস