ইফতারে যেসব খাবার খাবেন
বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় রোজায় খাদ্যাভ্যাসের দিকে বেশি নজর দেয়া উচিৎ। সারাদিন রোজা থাকার পর পাকস্থলীতে এমন কিছু খাবার দেয়া উচিৎ যা দ্রুত শরীরে শক্তি যোগায় ও বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ করে। গ্লুকোজের অভাবে মস্তিষ্কের কাজ ব্যাহত হয়। ইন্সুলিনের সাহায্য ছাড়াই গ্লুকোজ মস্তিষ্ক কোষে ঢুকে যায়। শরীরের আরেকটি গুরুত্বর্পূর্ণ অঙ্গ হল কিডনি, যা পানির অভাবে মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ১২ ঘন্টায় ৩০০ মিলির কম প্রস্রাব উৎপন্ন হলে কিডনি ইনফেকশনের সম্ভবনা থাকে। দেহের স্বাভাবিক কার্যকারিতার জন্য বিভিন্ন খনিজ উপাদান যেমন- সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি অত্যাবশ্যক। ইফতারে এমন সব খাবার খাওয়া উচিত যে খাবারে প্রয়োজনীয় পরিমান পানি, গ্লুকোজ ও খনিজ উপাদান থাকে। তাতে মস্তিষ্ক, কিডনি ও ত্বকের কার্যক্রম ঠিক থাকে।
আরও পড়ুন: তরমুজ বেশি খেলে যেসব সমস্যা হয়
বাজার থেকে মুখরোচক খাবার কেনার আগে দেখে নিন তা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি করা হয়েছে কিনা। ভেজাল তেল, বেসন ও কৃত্রিম রং মেশানো হয়েছে কিনা সেদিকে নজর দেয়া উচিত। যে তেলে ভাজা হয় সেই তেল একবারের বেশি ব্যবহার উচিত নয়। কারণ একই তেল বার বার আগুনে ফোটালে কয়েক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য তৈরি হয়। যেমন- একই তেল বার বার ব্যবহৃত হলে তা থেকে পলি নিউক্লিয়ার হাইড্রোকার্বন তৈরি হয়। যার মধ্যে বেনজা পাইরিন নামক ক্যান্সার হতে পারে এমন পদার্থের মাত্রা বেশি থাকে। তাছাড়া অপরিষ্কারভাবে ইফতারি তৈরি করলে পেটের পীড়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুস্থভাবে বাঁচার জন্য যত্রতত্র খোলা খাবার না খাওয়াই উচিত।
খুব কম ফলই পাওয়া যাবে যা ভেজালমুক্ত। শরবতের কথা তো বলাই বাহুল্য। রাস্তা-ঘাটে, হাটে-বাজারে রকমারি শরবত তৈরি করা হয়। আমাদের জানতে হবে, এসব শরবত যে পানি দিয়ে বানানো হয় সে পানি বিশুদ্ধ কি-না। তাছাড়া ইফতারের জন্য তৈরি প্রায় সব খাবার তেল ও উচ্চ চর্বিযুক্ত। সাধারণত অধিক মুনাফার আশায় এসব খাবার মানসম্মত তেলে এবং সঠিক নিয়মে ভাজা হয় না, তাই এসব স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
আরও পড়ুন: দ্রুত ওজন কমাতে আখের রস খান
ইফতারিতে খেজুর বা খুরমা, ঘরের তৈরি বিশুদ্ধ শরবত, কচি শসা, পেঁয়াজু, বুট, ফরমালিন অথবা ক্যালসিয়াম কার্বাইডমুক্ত মৌসুমি ফল থাকা ভালো। কারণ ফলে ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং সহজে তা হজম হয়। রুচি অনুযায়ী বাসায় রান্না করা নুডলসও খেতে পারেন। বেশি ভাজি ভূনা তেহারি, হালিম না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে বদহজম হতে পারে। রুচি পরিবর্তনের জন্য দু-একটা জিলাপি খেতে পারেন। তাছাড়া গ্রীষ্মকালীন রমজানে পরিমাণমতো বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। এশা ও তারাবির নামাজের পর অভ্যাস অনুযায়ী পরিমাণমতো ভাত, মাছ অথবা মুরগির মাংস, ডাল ও সবজি খাবেন।
এইচএন/আরআইপি