দূরে থাকুক ডায়াবেটিকস
ডায়াবেটিকস যেন এক আতঙ্কের নাম। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও বাড়ছে ডায়াবেটিকস রোগীর সংখ্যা। অনেকে রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি দেখলে না খেয়ে অতিরিক্ত ব্যায়াম করে শরীরের ওজন কমিয়ে প্রি-ডায়াবেটিকস ঠেকাতে চান। কিছু কিছু অভ্যাস শারীরিক চর্চা করলে প্রি-ডায়াবেটিকস থামানো যায়। শরীরের উচ্চতা ও গঠন অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নির্দিষ্ট ওজন থেকে ৫-১০ কেজি বেশি ওজন হলে তা শরীরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।। নিয়মিত শারীরিক ব্যয়াম কররে ওজন কমানো সম্ভব। তাছাড়া কম ক্যালরীযুক্ত খাবার খেয়েও ওজন কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
আরও পড়ুন : যে কারণে স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খাবেন না
ডায়বেটিকস বা প্রি-ডায়াবেটিকস লোকের হাঁটার বিকল্প নেই। গবেষণায় দেখা গেছে যারা দৈনিক ৪ ঘন্টা ব্যায়াম বা ১ ঘণ্টা নিয়মিত হাঁটে তাদের ডায়াবেটিকস হওয়ার ৮০% ঝুকি কমেছে। হাঁটলে বা ব্যয়াম করলে শরীরের কোষে ইনসুলিন রিসেপ্টারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
যতটা সম্ভব শাক-সবজি খেতে হবে। শর্করা কাওয়ার আগে শাক সবজি, সালাদ খেয়েও রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সঠিক খাবার বেছে খেলে ফিট থাকা যায়। রক্তের সুগার ও কন্টলে থাকে। আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া ভালো যেমন: ভুট্টা, যব, গম , আটা, ঢেঁকিছাটা চাল, ইত্যাদি।
চিনিযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা আবশ্যক যেমন: ব্রাউন সুগার, গ্লুকজ, গুড়, চিনি. যতটা সম্ভব মাছ খাওয়ার অভ্যাস করুন তেল যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
ফাস্টফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে। কফি বা গ্রিন টি খেতে পারবেন তবে অবশ্যই চিনি ছাড়া।
আরও পড়ুন : এই সময়ে সুস্থতা
নিয়ম করে দৈনিক ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। নিয়মিত ঘুম না হলে মেজাজ খিটখিটে থাকবে কাজে মন বসবে না। কোন কিছু ভালো লাগবে না। রক্তচাপ বৃদ্ধি পাবে।
যতটা সম্ভব নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখতে হবে। দুঃচিন্তা শুধু ডায়াবেটিকসই না, উচ্চ রক্তচাপ ঘটাতেও সক্রিয়। তাই চিন্তা না করে স্বাভাবিকভাবে চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
এইচএন/এমএস