গুণে ভরা লালশাক
রঙ এবং স্বাদের জন্য লাল শাক বরাবরই অনন্য। বিশেষ করে শিশুদের কাছে প্রিয় একটি শাক লাল শাক। ১০০ গ্রাম লাল শাকে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ রয়েছে ৩৭৪ মিলি গ্রাম, যেখানে পুঁই শাকে ১৬৪ মিলি গ্রাম, মূলা শাকে ২৭.৯০ মিলি গ্রাম, পালং শাকে ৭৯ মিলি গ্রাম, ডাঁটা শাকে ৮০ মিলি গ্রাম, বেগুনে ২৬ মিলি গ্রাম, বাঁধা কপিতে ৩০.৫ মিলি গ্রাম।
ক্যালসিয়াম বাদে লাল শাকে অন্য যে সমস্ত পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হলো- শর্করা ৪.৯৬ মিলি গ্রাম, প্রোটিন ৫.৩৪ মিলি গ্রাম, স্নেহ ০.১৪ মিলি গ্রাম, ভিটামিন বি১ ০.১০ মিলি গ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.১৩ মিলি গ্রাম, ভিটামিন সি ৪২.৯০ মিলি গ্রাম, ক্যারোটিন ১১.৯৪ মিলি গ্রাম, অন্যান্য খনিজ ১.০৬ মিলি গ্রাম, খাদ্য শক্তি ৪৩ কিলোক্যালরি।
লাল শাকের কিছু উপকারিতা :
*লাল শাক ভিটামিন ‘এ’-তে ভরপুর। লাল শাক নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে এবং অন্ধত্ব ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
*শরীরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমে গিয়ে যেসব অসুখ হয় তা প্রতিরোধ করে লাল শাক ।
*লাল শাকে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
*রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
*লাল শাকের বিটা-ক্যারোটিন হার্টস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।
*এটি মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে এবং দন্ত ও অস্থি গঠনে অবদান রাখে। দাঁতের মাড়ি ফোলা প্রতিরোধ করে।
*লাল শাক শিশুদের অপুষ্টি দূর করে।
*ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লাল শাক যথেষ্ট উপকারি। এ ছাড়াও এটি শরীরের ওজন হ্রাস করে।
আরও পড়ুন : যে কারণে কমলা লেবু খাবেন
*আঁশ জাতীয় অংশ খাবার পরিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
*ভিটামিন ‘সি’- এর অভাবজনিত স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে।
এইচএন/জেআইএম