সাজে স্নিগ্ধতা...
শীতের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে আলমারিতে তুলে রাখতে হবে গরম কাপড়চোপড়। প্রতিদিনের ফ্যাশনে জায়গা করে নেবে গরমের উপযোগী সাজ আর পোশাক। এই সময়ে যারা শাড়ি পরতে চান তারা শিফন, জর্জেট, সুতি ঢাকাই জামদানি, মসলিন, টাঙ্গাইলের জামদানি, টাঙ্গাইল বালুচরি, কোটা- এসব শাড়ি পরতে পারেন। শিফন ও জর্জেট শাড়ি হালকা হয় বলে এ সময় এই শাড়িগুলো পরতে আরাম। এগুলোতে চুমকি, পুঁতি, রিবন, প্যাঁচ, এমব্রয়ডারি কাজ করা হলেও শাড়িগুলো খুব বেশি ভারী হবে না। আবার শিফনে শার্টিনের অ্যাপলিক হলে তাতে শাড়িতে আসবে আভিজাত্যের ছোঁয়া।
আরও পড়ুন : চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখতে করণীয়
ব্লাউজে একটু খোলা গলা হওয়া উচিত এ সময়। পিঠ যেন বন্ধ না থাকে। তৈরি করিয়ে নিন খোলা পিঠের খাটো হাতার ব্লাউজ। স্বচ্ছন্দবোধ করলে স্লিভলেস ব্লাউজও পরতে পারেন। শাড়ির সঙ্গে মেলানো ব্লাউজ যেমন তৈরি করতে হবে, তেমনি ব্লাউজের কাটটাও সুন্দর হওয়া চাই।
যারা অনুষ্ঠান আয়োজনে সালোয়ার-কামিজ পরে অভ্যস্ত তারা ভয়েল, আদ্দি, সুতি বা জর্জেটের কামিজ পরতে পারেন। এসব কামিজের কাট গরম উপযোগী হতে হবে। হাতাকাটা কামিজ হলে অনেক বেশি আরামদায়ক হবে। তবে অনেকেই হাতাকাটা পোশাকে স্বচ্ছন্দবোধ করেন না। তাই ম্যাগি, ঘটি অথবা থ্রি কোয়ার্টার হাতাও চলতে পারে।
গলার ক্ষেত্রে গোল, ইউ বা হাল ফ্যাশন মেনে ভি গলার কামিজ পরা যেতে পারে। কামিজের ছাঁটটা সোজা হলেই ভালো, তাহলে গরমে আরাম পাওয়া যাবে। এ সময়ের পোশাক একটু ঢিলেঢালা হওয়াই ভালো। লিপি খন্দকারের মতে, সোজা ছাঁট ছাড়াও কামিজের ছাঁটটা হতে পারে আনারকলি স্টাইলের। কোমরের নিচে একটু ঢিলা রেখে কলিদার কামিজ বেশ আরামদায়ক। ধূসর, পেস্তা, হালকা গোলাপি, সাদা, চাপা সাদা, পিচ ও লেবু সবুজ- এসব এ সময়ের রঙ।
এ সময়ে কোনো অনুষ্ঠানে যেতে গলায় গয়না না পরাই ভালো। গলায় কিছু না পরে কানে পরা যেতে পারে একটু ভারী কোনো দুল। হাতে পরা যেতে পারে নানা নকশার বালা। এখন নানা আকারের এসব বালা পাওয়া যায়। আংটি পরতে পারেন মনের মতো করে।
আরও পড়ুন : সারাদিন সতেজ থাকতে করণীয়
মুক্তা বা রুপার গয়না বেশ স্বস্তি নিয়ে আসে। খুব জমকালো অনুষ্ঠানে হালকা পাথর বসানো ছোট ডিজাইনের গয়না পরা যেতে পারে। এছাড়া এখন ছোট দুল ও পেন্ডেন্ট বেশ জনপ্রিয়। ব্যাগটাও বেশি বড় না নিয়ে ছোটখাটো ক্লাচ, পার্স নিলেই বেশি মানানসই হবে।
এইচএন/আরআইপি