চুল সুন্দর রাখবেন যেভাবে
চুলের স্টাইল প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। চুলকে কখনও নানা ধরনের হেয়ার কাট করে নিজেকে সুন্দর করে তুলতে চাইছে সবাই। যেটা অবশ্যই প্রয়োজন কারণ আপনি প্রতি একমাস অন্তর আপনার চুলের স্টাইল করে কেটে দেখবেন আপনার চুলের অনেক সমস্যাই কম হচ্ছে। এর কারণ আপনার চুল বরাবর কাটার ফলে চুলে স্পিটেন থাকছে না। তাই সমস্যাও কমে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : চুল ধোয়ার সঠিক নিয়ম
অনেকে ভয়ে চুল কাটেন না মনে করেন চুল কাটলেই চুল ছোট হয়ে যাবে। কিন্তু না চুল সব সময় ছোট করেই কাটতে হবে তেমনটা নয়। আপনার লেন্থ বড় রেখেও আপনি আপনার স্টাইল করতে পারেন।
কেউ কোঁকড়া চুল সোজা করতে চান, কেউ আবার সোজা চুলকেই কার্লি লুক দিতে চান। সেইসঙ্গে হেয়ার কালার ও স্টাইলের একটা অনুষঙ্গ, আজকাল যেন এছাড়া আপনার সৌন্দর্য যে পরিপূর্ণতা আসে না। কত ধরনের কালার যে আছে তার তো ইয়ত্তা নেই। সেই সঙ্গে আছে হাজারও কোম্পানি।
যখনই কোনো কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট নেবেন তার তিন দিনের ভেতর কেমিক্যাল ওয়াশ ট্রিটমেন্ট নিয়ে নেবেন। এটা একমাত্র এ্যারোমা থেরাপি ট্রিটমেন্টেই আছে। তাহলে স্টাইল যা-ই করুন আপনার চুলে সমস্যা হবে না। আর যদি দেখা যায় কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট না করেও চুল পড়ে যাচ্ছে তবে বুঝতে হবে আপনার যত্নের অভাব হয়েছে।
সঠিক উপায়ে যত্ন নিলে আপনি নিজেও আপনার চুল পড়া কমানোর উপায় পেয়ে যাবেন। বাড়িতে যত্ন নিতে হলে আপনাকে সঠিক শ্যাম্পু সঠিক কন্ডিশনার নির্বাচন করতে হবে। আর তেলকে করতে হবে আপনার সঙ্গী। কারণ তেল আপনার চুলে যে পুষ্টি দিতে পারবে কোনো কন্ডিশনার সেটা করতে পারবে না। সবচেয়ে সহজলভ্য হল নারিকেল তেল যা আপনার হাতের কাছেই থাকে।
আরও পড়ুন : লালচে চুল কালো করার প্রাকৃতিক উপায়
হাল্কা গরম করে আস্তে আস্তে অয়েল ম্যাসাজ করুন সম্ভব হলে স্টিম নিন। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে চাইলে কন্ডিশনার লাগিয়ে পাঁচ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটুকু যত্ন ধৈর্য ধরে করুন আপনার অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে সম্ভব হলে মাসে একবার কোনো ভালো পার্লারে গিয়ে প্রফেশনাল হেয়ার ট্রিটমেন্ট নিন। তাহলেই চুল নিয়ে আপনার কোনো সমস্যা থাকবে না।
এইচএন/পিআর