শীতে কাশি হলে করণীয়
শীতকালীন শুকনো বাতাস কাশির জন্য সাধারণত দায়ী। আবার আর্দ্র বাতাসের কারণে অ্যাজমার প্রকোপ এবং ধুলোবালি থেকে অ্যালার্জির কারণে কাশি শুরু হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে আবার কফ জমাট বেধে ভয়ানক কাশিও হয়। সাধারণত ঠান্ডা ও ফ্লুয়ের কারণে কাশি হয়। তবে অ্যালার্জি, অ্যাজমা, এসিড রিফ্লাক্স, শুষ্ক আবহাওয়া, ধূমপান, এমনকি কিছু ওষুধ সেবনের ফলেও এ সমস্যা তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন : হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা
মানসিক চাপ ঠান্ডার স্থায়ীত্বকালকে বাড়াতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী কাশির মোকাবেলা করতে, যখন আপনি অসুস্থ থাকবেন তখন আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলুন। নিজের উপর বেশি চাপ প্রয়োগ করলে আপনি হয়তোবা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। প্রশান্তিতে থাকার একটি উপায় হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম নিন; রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমান।
পানি, জুস এবং সুপ আপনার শ্বাসনালী থেকে কফ বা শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। কিন্তু ক্যাফিনযুক্ত পানীয় যেমন চা বা কফি শরীরে পানি শূন্যতা তৈরি করে যা কিনা ঠান্ডা লাগলে আপনার শরীরের জন্য একেবারেই কাম্য নয়।
চলুন জেনে নেই কাশি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়-
গার্গল করলে গলাব্যথা কমে ও কাশি কমতে সহয়তা করে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে ১৫ মিনিট ধরে গার্গল করুন। এভাবে বিরতি দিয়ে কয়েকবার করুন। এটি কাশি কমাতে বেশ কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি।
কাশি কমাতে এক কাপ লেবুমিশ্রিত চায়ের মধ্যে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। মধু কাশি কমাতে সাহায্য করে এবং গলাব্যথা কমায়। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়, মধু কখনো কখনো কাশিরোধী ঔষুধগুলোর চেয়েও ভালো কাজ করে। কারণ মধু গরম খাদ্য তরল যা শ্লেষ্মা কমায়। কিন্তু এক বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মধু দেয়া যাবে না এটা তাদের পেটের খাবারকে বিষাক্ত করে তুলতে পারে।
কাশি কমাতে লেবুর শরবতের মধ্যে আদা কুচি মিশিয়ে খেতে পারেন। আদা শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে এক চা চামচ মধুও মেশাতে পারেন এতে ভালো ফলাফল পাবেন।
আরও পড়ুন : গর্ভাবস্থায় যে ফলগুলো খাবেন
কাশি নিয়ন্ত্রণে হলুদ বেশ কার্যকর। এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়া এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি দ্রুত কাশি কমিয়ে ফেলবে।
এক পিস ক্যান্ডি খেয়ে দেখতে পারেন। ক্যান্ডি শক্ত কফ নরম করে দিতে সাহায্য করে এবং কাশি কমায়।
এইচএন/জেআইএম