চুলের যত্নে ঘরেই তৈরি করুন ম্যাজিক অয়েল
চুলের যত্নে নানারকম তেল আমরা ব্যবহার করে থাকি। তার বেশিরভাগই বাজার থেকে কিনে আনা। সেসব তেল সাময়িকভাবে উপকার করলেও পরবর্তীতে চুলের দুরবস্থার জন্য দায়ী হতে পারে। দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। চুলের নানারকম সমস্যা থেকে বাঁচতে ঘরেই তৈরি করতে পারেন ম্যাজিক অয়েল। চলুন শিখে নেই তেমনই দুটি ম্যাজিক অয়েল তৈরির নিয়ম।
আমলা হেয়ার অয়েল
একশো গ্রাম আমলকির গুঁড়া একটা পাত্রে নিয়ে তাতে বেশ খানিকটা পানি মিশিয়ে ফোটাতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন তাপমাত্রায় পানির পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। আমলকির একটা ঘন মিশ্রণ তৈরি হয়েছে। সেটাকে ছেঁকে নিয়ে আলাদা করে রাখুন। এরপর আরেকটা পাত্রে ২৫০ গ্রাম নারকেল তেল আর তিলের তেলের মিশ্রণ নিয়ে তাতে ২০ গ্রাম আমলকির গুঁড়া মেশান। আমলকির ঘন মিশ্রণটাও যোগ করুন। তারপর সবটা একসঙ্গে ফোটান। তাপ কমিয়ে আরও কিছুক্ষণ ধীরে ধীরে ফোটাতে থাকুন, যতক্ষণ না পানির ভাগ পুরোপুরি কমে আসছে। একটা সময়ের পর দেখবেন আমলকি গুঁড়ার মোটা স্তর পাত্রের নিচের দিকে জমা হয়ে, ওপরের অংশে হলদেটে রঙের স্বচ্ছ তেল ভেসে উঠেছে। এটাই আপনার আমলা হেয়ার অয়েল। এ তেলটা ছেঁকে তুলে নিন পাত্র থেকে। ভালো কনটেইনারে রেখে দিন। চাইলে এতে লেমন এসেনশিয়াল অয়েল মেশাতে পারেন খানিকটা। সুন্দর গন্ধ হবে। শ্যাম্পু করার আগে প্রতিবার এ তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। চুল ভালো কন্ডিশন্ড থাকবে। ভিটামিন সি’এর আধিক্য থাকায় আমলকি চুলের জন্য দারুণ উপকারী।
তুলসী হেয়ার অয়েল
চার-পাঁচটা তুলসীপাতার গোছা থেকে পাতাগুলোকে আলাদা করে নিয়ে ভালো করে বেটে নিন। এর মধ্যে কয়েকটি লবঙ্গও দিতে পারেন। গন্ধটা আরও আকর্ষণীয় হবে। তুলসি-লবঙ্গের পেস্টের সঙ্গে এককাপ নারকেল তেল দিয়ে ফোটান। কম আঁচে ফোটাবেন। এরপর এতে দুই টেবিলচামচ মেথি দিন। কিছুক্ষণ ফুটিয়ে আঁচ বন্ধ করে দিন। মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হলে তেলটা ছেঁকে নিয়ে একটা কনটেইনারে রেখে দিন। আরেকটু অ্যাডভেঞ্চারাস হতে চাইলে তেলটা তৈরি হওয়ার পর ইউক্যালিপ্টাস এসেনশিয়াল অয়েলও মেশাতে পারেন। অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপার্টিজ আছে কি না! এই তেল যখন ব্যবহার করবেন, খানিকটা গরম করে নেবেন। চুল আরও নরম হবে। ড্যামেজ্ড স্ক্যাল্পের জন্য তুলসীর ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ব্যাকটেরিয়া-সংক্রান্ত সমস্যায় তুলসী দারুণ কাজ দেয়। মাথার চুলকানিভাব কিংবা খুশকির সমস্যাও কম হয় এ তেলে।
এইচএন/জেআইএম