ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

মটরশুটি কেন খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:৫২ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭

মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আঁশ এবং অনেক ধরনের পুষ্টিসমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে। এতে ফ্যাট কম থাকায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ যদি প্রতিদিন ২ মিলিগ্রাম পলিফেলনসমৃদ্ধ খাবার খান তাহলে তার পাকস্থলী ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। আর এক কাপ মটরশুটিতে অন্তত ১০ মিলিগ্রাম পলিফেলন থাকে। তাই এটি পাকস্থলী ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে দারুণ কার্যকরী।

প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় মটরশুটি বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রাণশক্তি বাড়ায়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। একারণে ডায়বেটিস রোগীদের জন্যও এটি বেশ উপকারী।

ভিটামিন বি১,২,৩,৬ এর উৎস হওয়ায় এটি শরীরের হোমোসাইস্টাইন লেভেল কমায়, একারণে শরীরে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে । প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় মটরশুটি কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে সাহায্য করে।

এক কাপ পরিমাণ মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে থাকে যা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। ফলে হাড় মজবুত রাখার ক্ষেত্রেও মটরশুটি বেশ কার্যকরী। এছাড়া শরীরে খারাপ কোলেষ্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও দারুণ ভূমিকা রাখে মটরশুটি।

মটরশুটি খুব পুষ্টিকর খাদ্য। এই সবজিতে বেশ ভালো পরিমাণে তন্তু থাকায় পেট পরিস্কার রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।

মটরশুটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে এই সবজি দারুণ কাজ করে ও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ডায়াবেটিক রোগীরা মটরশুটি খেতে পারেন। এছাড়া এটি শরীরে হাড় শক্ত করতেও খুব ভালো। ফলিক অ্যাসিড থাকায় প্রসূতি মায়েরা মটরশুটি খেতে পারেন।

এতে থাকে প্রচুর আয়রন। যা অ্যানিমিয়া ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।

প্রোটিন, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ হওয়ায় শিশুর দেহের বৃদ্ধিতে দারুণ কাজ করে মটরশুঁটি।

এইচএন/আরআইপি

আরও পড়ুন