আপনিও কি দেশীয় পণ্যে ঘর সাজাচ্ছেন

রাজধানীর সড়কে ও অনলাইনে দেখা যায় পণ্যগুলো। পাট, বেত ও দড়ির মতো উপকরণে তৈরি ছোট ছোট জিনিস। বাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব পণ্যের ক্রেতা এখন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
ফলের ঝুড়ি, ঘরের কোণে ধোয়ার কাপড় রাখার ঝুড়ি, ইনডোর প্ল্যান্ট রাখার জন্য প্ল্যান্টার, গাছ ঝুলিয়ে রাখতে দড়ির শিকা, ঝুলন্ত ল্যাম্পের ঢাকনা ও দেয়াল সাজানোর শোপিসের মতো অনেক পণ্য পাওয়া যায় এসব দোকানে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ট্রাফিক সিগন্যালে ঘুরে ঘুরেও এমন সব হ্যান্ডমেড পণ্য বিক্রি করেন অনেকে। গুলশান-১ সার্কেলে ডিসিসি মার্কেটের পেছনে দেখা মেলে এমন এক দোকানের। দোকানে উপস্থিত এক দম্পতি জানান বসার ঘরকে দেশীয় চেহারায় সাজাচ্ছেন তারা, তাই গাছের টব রাখার কিছু প্ল্যান্টার আর ঝুড়ি নিতে এসেছেন।
দোকানে ছোট ছোট প্ল্যান্টার থেকে শুরু করে মাঝারি আকারের সবজি রাখার ঝুড়ি, কাপড় রাখার বড় ঝুড়ি ও দড়ির ম্যাটও চোখে পড়ে। প্রতিটি পণ্য হাতে বানানো বলে আকারের সঙ্গে দাম বাড়তে থাকে। তবে বাজেট অনুযায়ী কিছু না কিছু পেয়ে যাবেন এসব দোকানে। এসব পণ্যের দাম শুরু হয় এক শ টাকারও নিচে থেকে। বড় পণ্যগুলোর দাম দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত যেতে পারে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিক্রেতাদের আক্ষেপ, ‘কোনো কোম্পানির লোগো না থাকায় মানুষ দাম দিতে চান না। দরদাম করে বেশি।’ আবার এসব পণ্য বড় দোকানে বিক্রি হলে খুচরা বিক্রেতা দাম পেলেও উৎপাদনকারী তার প্রাপ্য মূল্য পান না অনেক ক্ষেত্রেই। নগরীর পান্থপথের ট্রাফিক সিগন্যালে এক বেতের ঝুড়ি বিক্রেতা আক্ষেপ করে বলেন, ‘মানুষ খালি বেতের দাম হিসাব করে, বানানোর যে কষ্ট, সেটা নিয়ে কেউ ভাবে না।’
বাঁশ, বেত, পাট, খেজুরপাতা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি ঘরসজ্জার পণ্য বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ। এর সৌন্দর্য মানুষ নতুন করে অনুধাবন করছে। কিন্তু এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এর পেছনের কারিগরদের মূল্যায়ন করার কথা মাথায় রাখতে হবে। তাহলেই শিল্পী ও শিল্প উভয়ই বেঁচে থাকবে।
বিজ্ঞাপন
এএমপি/আরএমডি/জেআইএম
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন