ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

জুলাই গণহত্যা

গুলশানে গুলির ঘটনা ঘটেনি, ফুটেজ দেখার অনুরোধ সাবেক ওসি মাজহারের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:২৪ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতা হত্যার ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে দ্রুত আলামত সংগ্রহের জন্য অনুরোধ করেছেন গুলশান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল হক।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতের কাছে ৩০ সেকেন্ড সময় দাবি করেন তিনি। এ সময় আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তিনি বলেন, আমার এলাকায় কোনো গুলির ঘটনা ঘটেনি, যার সিসিটিভি ফুটেজ সেই এলাকায় সংরক্ষিত রয়েছে।

আদালতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আট কর্মকর্তার বিষয়ে শুনানি চলছিল, শুনানির শেষ দিকে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাত উঁচু করে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাবেক ওসি মাজহারুল হক। তিনি বলেন, ‘মাননীয় আদালত আমাকে ৩০ সেকেন্ড সময় দিন। এটি যদি আমি না বলতে পারি তাহলে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবো।’

আদালত সম্মতি দিলে তিনি বলেন, ‘ওইদিন আমার থানা থেকে একটি গুলিও করা হয়নি। সেখানে র‍্যাব, বিজিবি ও এপিবিএনের সদস্যরা ছিল। গুলশান আবাসিক এলাকায় ৫০ কোটি টাকা খরচ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সেসব ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করলেই সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।’

এসময় আদালত বলেন, আমরা এখন এসব কথা শুনছি না। এগুলো পরে বলবেন। পরে আপনাদের কথা শোনা হবে। এ সময় ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আদালতকে অনুরোধ করেন যেন তার কথা শেষ করতে দেওয়া হয়।

পরে আদালত আবার অনুমতি দিলে মাজহারুল বলেন, ‘আমি আশঙ্কা করছি এসব আলামত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের জন্য আবেদন করছি। না হলে আমি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারি।’

এরপর আদালত উপস্থিত প্রসিকিউশনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

এর আগে বেলা ১১টার মধ্যে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেফতার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আট কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এরপর তাদের বিষয়ে তদন্ত শেষ করে আগামী বছরের ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিল করতে বলেন আদালত।

তারা হলেন– সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসীম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

এফএইচ/এমএএইচ/এএসএম