বেনজীর ও মতিউর পরিবারের বিরুদ্ধে ৬ মামলার প্রতিবেদন ১১ মার্চ
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের পরিবারের বিরুদ্ধে করা পৃথক ছয় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক ইব্রাহীম মিয়া মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) মতিউর ও তার স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর বিরুদ্ধে দুটি এবং বেনজীর, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করে দুদক।
চার মামলায় বেনজীর পরিবারের বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন
প্রথম মামলায় আসামি হয়েছেন বেনজীর আহমেদ। তার বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭৫১ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ২ কোটি ৬২ লাখ ৮৯ হাজার ৬০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় আসামি হয়েছেন বেনজীর ও তার স্ত্রী জীসান মির্জা। জীসান মির্জার বিরুদ্ধে ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ৫৫ হাজার ১৪৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ১৬ কোটি ১ লাখ ৭১ হাজার ৩৩৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার এই সম্পদ স্বামী বেনজীর আহমেদের অবৈধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
তৃতীয় মামলায় বেনজীর ও তার মেয়ে ফারহিন রিশতা বেনজীরকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় রিশতার বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৭৫ লাখ ২৭৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চতুর্থ মামলায় আসামি হয়েছেন বেনজীর ও তার ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর। তার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ও ২৬ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউরের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ২৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ১ কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ২১৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় মতিউরের সঙ্গে আসামি হয়েছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী। শিবলীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৯০ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ২ কোটি ৭৫ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ও ২৬ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে দুদকে সম্পদের বিবরণী জমা দিয়েছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান। চলতি বছরের এপ্রিলে একটি জাতীয় দৈনিকে বেনজীরের অবৈধ সম্পদের ফিরিস্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ২২ এপ্রিল বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে নামে দুদক।
বেনজীর, তার স্ত্রী ও কন্যাকে দুই দফা সময় দিয়ে তলব করলেও কেউই আসেননি দুদকে। জব্দ করা হয়েছে বেনজীরের শত কোটি টাকার সম্পদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। গত ১৪ অক্টোবর পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে বেনজীরসহ পাঁচজনের নামে মামলা করে দুদক। ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউরের বিরুদ্ধে গত ২৩ জুন অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
এমএএস/এমআইএইচএস
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ গুলশানে গুলির ঘটনা ঘটেনি, ফুটেজ দেখার অনুরোধ সাবেক ওসি মাজহারের
- ২ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
- ৩ ‘জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের টার্গেট কিলিং করা হচ্ছে’
- ৪ বেনজীর ও মতিউর পরিবারের বিরুদ্ধে ৬ মামলার প্রতিবেদন ১১ মার্চ
- ৫ আদালত-বিচারকের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা, জানতে চেয়ে চিঠি