বিজয়ের বর্ণিল সাজে সেজেছে রাজধানী
বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল ও স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন ১৬ ডিসেম্বর। বাঙালির সবচেয়ে আনন্দের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাস্ত করে বিশ্বের মানচিত্রে সৃষ্টি হয় নতুন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
এক এক করে ৫৩টি বিজয় দিবস পালন করে ৫৪তম বিজয় দিবসে বাংলাদেশ। এই বিজয় দিবসের আগ মুহূর্তে চোখ ধাঁধানো বর্ণিল সাজে সেজেছে রাজধানী ঢাকা। বর্ণিল আলোকসজ্জায় রঙিন ঢাকা যেন একখণ্ড লাল-সবুজের পতাকা।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, নগরজুড়ে হাজারো আলোর বাতির উজ্জ্বল শিখা, লাল-সবুজের মিশেল ও বিজয়ের রোশনাই।
সংসদ ভবন, সচিবালয়, হাইকোর্ট থেকে শুরু করে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সব সরকারি স্থাপনায় শোভা পাচ্ছে রঙিন আলোকসজ্জা। বিভিন্ন বেসরকারি ভবনও লাল-সবুজ আলোয় সাজানো হয়েছে।
পেশাদার সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আঙিনা সন্ধ্যার আগেই রঙিন আলোয় আলোকিত হয়েছে। কিছু দূরে অবস্থিত প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ও রঙিন আলোয় সজ্জিত দেখা গেছে।
সচিবালয় থেকে অল্প দূরে বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিল। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে মতিঝিলে। বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী, জনতা, রূপালী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ভবনের বিজয় দিবসের আলোকসজ্জা নজর কাড়ছে নগরবাসীর।
মতিঝিলে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জন্য এক গৌরবের দিন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে লাখো প্রাণের বিনিময়ে আমরা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করি। প্রতিবছর বিজয় দিবসের আগে ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই আলোকসজ্জা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।
মতিঝিল থেকে কাকরাইল মোড়ে আসতেই চোখে পড়ে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ভবন। সরকারি এই স্থাপনাটিও রঙিন আলোয় সাজানো হয়েছে। লাল-সবুজের পাশাপাশি হলুদ, সাদা আলোর ছটা দেখা যায় ভবনটিতে।
ভবনটির সামনে কথা হয় ফারুক আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের দিন, আনন্দের দিন। বিভিন্ন ভবনে রঙিন আলো যেভাবে শোভা পাচ্ছে, সেটি বিজয়েরই একটি নিদর্শন।
এমএএস/এমকেআর