ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি এগিয়ে আনার আবেদন নাকচ

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ০৪:২১ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর পক্ষে ঢাকা থেকে আসা এক আইনজীবীর তিনটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন চট্টগ্রামের এক আদালত। তিন আবেদনের মধ্যে একটি ছিল চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি এগিয়ে আনার বিষয়ে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম শুনানি শেষে ওই আইনজীবীর তিন আবেদন খারিজ করে দেন।

রবীন্দ্র ঘোষ নামে এক আইনজীবী ঢাকা থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে আসার খবরে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে বুধবার সকাল থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা থেকে আসা ওই আইনজীবী চিন্ময়ের মামলার নথি উপস্থাপন, জামিন শুনানির ধার্য তারিখ এগিয়ে আনা এবং আসামি কিংবা ফাইলিং ল’ইয়্যারের সম্মতি ছাড়াই আবেদনগুলো শুনানির জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে মোট তিনটি আবেদন করেন। যেহেতু ওই আইনজীবীর ওকালতনামা ছিল না, তাই আদালত ‘নট মেইনটেইনেবল’ বলে ওই আইনজীবীর তিন আবেদনই খারিজ করে দেন।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে এলেও সংশ্লিষ্ট আদালতে কোনো আবেদন করার জন্য প্রথমত যার পক্ষে আবেদন করবেন তার সম্মতি, ফাইলিং ল’ইয়্যারের সম্মতি কিংবা সংশ্লিষ্ট বারের একজন আইনজীবীর ওকালতনামা দিতে হয়। কিন্তু ঢাকা থেকে আসা ওই আইনজীবী এর কোনোটিই করেননি।

গত ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হয়। এ মামলায় ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রামে ফেরার পথে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রক্ষ্মচারীকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম। পরদিন তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওইদিন তাকে কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তার পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করা হলেও আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

পরে গত ৩ ডিসেম্বর ফের জামিন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও ওইদিন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। যে কারণে আদালত জামিন শুনানি পিছিয়ে আগামী ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

এমডিআইএইচ/কেএসআর/জিকেএস