পঞ্চদশ সংশোধনী প্রশ্নে পরবর্তী রুল শুনানি বুধবার
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী প্রশ্নে রুলের ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে হাইকার্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
একাদশতম দিনের মতো শুনানিতে আজ ইন্টারভেনর হিসেবে যুক্ত হওয়ায় সেন্টার ফর ল’ গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মশিউর রহমানের পক্ষে আইনজীবী বেলায়েত হোসেন বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে শুনানিতে তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনের জন্য কিছু অপরিহার্য শর্ত থাকে, পঞ্চদশ সংশোধনীর ক্ষেত্রে তা পূরণ করা হয়নি। এ সংশোধনীর মাধ্যমে এমন কিছু প্রভিশন বাতিল করা হয়েছে, যেগুলো সংবিধানের অন্যতম মূল স্তম্ভ। ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছিল। এ ব্যবস্থা একটি সাংবিধানিক কনভেনশনে পরিণত হয়েছিল।
তিনি বলেন, এর অধীনে বেশ কিছু নির্বাচন হয়েছিল। ফলে কোনো সাংবিধানিক কনভেনশন সংসদ চাইলে একটি আইনের মাধ্যমে বাদ দিতে পারে না।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ আগস্ট সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৯ আগস্ট রুল দেন। রুলে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
একই বিষয়ে আরও একটি রিট করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন নামে এক ব্যক্তি। দুটি রিটের শুনানি একসঙ্গে গ্রহণ করছেন আদালত।
রুলে ইন্টারভেনার হিসেবে বিএনপি, গণফোরাম, জামায়াত, বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিসহ বেশ কয়েকজন যুক্ত হন। এর মধ্যে শুনানিতে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী, বিএনপির আইনজীবী, রাষ্ট্রপক্ষ ও জামায়াতের আইনজীবী বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
রুলের ওপর গত ৩০ অক্টোবর, ৬ নভেম্বর, ৭ নভেম্বর, ১০ নভেম্বর, ১৩ নভেম্বর, ১৪ নভেম্বর, ২০ নভেম্বর, ২৫ নভেম্বর, ২৭ নভেম্বর ও ২৮ নভেম্বর শুনানি হয়।
এফএইচ/এমকেআর/জিকেএস