ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি

উচ্চ ক্ষমতার অনুসন্ধান কমিটি চেয়ে রিটের শুনানি মঙ্গলবার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির বিষয়ে অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন চেয়ে রিটের ওপর শুনানির জন্য মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

ওই চুক্তির বৈধতা নিয়ে করা রিটের বিষয়টি সোমবার (১৮ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে উপস্থাপন করেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী। পরে আদালত বলেন, ‘আজ না হলেও আগামীকাল ওপরের দিকে থাকবে।’

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম আবেদনকারী হয়ে গত ১২ নভেম্বর রিট করেন। রিটে বিদ্যুৎ ক্রয়ের জন্য আদানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বরের চুক্তির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে রুল চাওয়ার পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটে দেখা যায়, ওই চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে এবং জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি কার্যকরে জড়িতদের চিহ্নিত করতে আন্তর্জাতিক জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটটি আজ আদালতের কার্যতালিকায় ছিল। বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেন রিটকারী আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম। এরপর আদালত মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন রেখেছেন বলে জানান তিনি।

রিট দায়ের করার পর সম্পূরক আবেদন দিয়েছেন জানিয়ে আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে এরই মধ্যে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখা যাচ্ছে যে আমাদের সরকার ভারতের অন্যান্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ অনেক কম টাকায় পায়। ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে যে বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়, দরপ্রতি ইউনিট হিসেবে ৫ দশমিক ৫ পয়সা পড়ে। ভারতের অন্যান্য বেসরকারি খাত থেকে বাংলাদেশ যে বিদ্যুৎ নেয়, তার খরচ ইউনিটপ্রতি ৮ টাকা ৫০ পয়সা করে পড়ে। অথচ আদানির কাছ থেকে নিতে ১৪ টাকার ওপরে ইউনিটপ্রতি খরচ পড়ে। এমনকি নেপাল থেকে আনতে মোট খরচ পড়ছে মাত্র ৮ টাকা। আদানির সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে দর-কষাকষি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয়নি বলে গণমাধ্যমে দেখেছি। যে কারণে আদৌ দর-কষাকষি হয়েছে কি না, হলে কীভাবে হয়েছে, এ বিষয়ে এ-সংক্রান্ত তথ্যাদি আদালতে দাখিল করার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে সম্পূরক আবেদনে।’

এফএইচ/ইএ/জিকেএস