গণহত্যার অভিযোগ
হাসিনার ২ উপদেষ্টা ও ১০ সাবেক মন্ত্রীর ট্রাইব্যুনালে হাজিরা কাল
জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ মন্ত্রী, এক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এক সচিবসহ ১৪ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।
আগামীকাল সোমবার (১৮ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তাদের হাজির করার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা, সাবেক ১০ মন্ত্রী, এক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এক সচিবসহ ১৪ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত। ১৮ নভেম্বর তাদের হাজির করতে বলা হয়।
আরও পড়ুন
- চিফ প্রসিকিউটরকে নিয়ে নুরের বক্তব্য প্রত্যাহার, সহযোগিতার আশ্বাস
- সিএমএম আদালত থেকে পালালো ডাকাতি মামলার আসামি
অভিযুক্তরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। এছাড়াও সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, দীপু মনি, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, জুনাইদ আহমেদ পলক ও কামাল আহমেদ মজুমদার। সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলমকেও সোমবার আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
এর আগে চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম তাদের গ্রেফতার ও ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে আবেদন করেন।
এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম ওইদিন সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সাবেক বিচারপতি, পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে হাজিরের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
তিনি বলেন, পৃথক তিনটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন আদালত। গ্রেফতার ১৪ জনকে ১৮ নভেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এফএইচ/কেএসআর/এমএস