ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

শর্ত মানলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ‘মিডিয়া প্লট’ বহাল থাকবে: হাইকোর্ট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

যে শর্ত মেনে প্লট বরাদ্দ নেওয়া হয়েছিল তা পালন করলে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ২০০৩ সালে দেওয়া ২৪ প্লটের বরাদ্দ বহাল থাকবে বলে রায় দিয়েছেন আদালত। এসব প্লট মিডিয়া প্লট নামে পরিচিত।

২০১২ সালে উচ্চ আদালতের দেওয়া স্বপ্রণোদিত রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে আজ শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অপরপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী।

রায়ের পর ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী বলেন, রায়ে রুল নিষ্পত্তি করেছেন আদালত।

যারা প্লট পেয়েছিলেন তারা যদি শর্ত মেনে থাকেন, তাহলে প্লট বরাদ্দ বহাল থাকবে। অর্থাৎ যে উদ্দেশ্যে প্লট নেওয়া হয়েছিল সে উদ্দেশ্যে যদি প্লটগুলো ব্যবহার করা হয় তাহলে বহাল থাকবে।

আরও পড়ুন

এক সময় (২০১২ সালে) এ মামলার শুনানিতে শফিক রেহমানের মতো সিনিয়র সাংবাদিককে দীর্ঘক্ষণ আদালতে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। এ রুলে ২০২১ সালে হাইকোর্টে পক্ষভুক্ত হয়েছিল মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।

তখন এইচআরপিবির সভাপতি মনজিল মোরসেদ জানিয়েছিলেন, ২০১০ সালে ‘সড়ক প্রকল্প রাতারাতি হয়ে গেলো শিল্প প্লট’ শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে বলা হয়, টেন্ডার ছাড়া স্বল্পমূল্যে ২৪টি প্লট ২০০৩ সালে পূর্ত মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দিয়েছে, সে পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১২ সালে স্বপ্রণোদিত রুল জারি করেন। রুলে বরাদ্দপত্র কেন বাতিল করা হবে না এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।

এছাড়া একটি কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীসময়ে ২০১৮ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলাটি রুল শুনানির জন্য উত্থাপিত হলে এইআরপিবি পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন করে। আদালত ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আবেদনটি মঞ্জুর না করে নথিভুক্ত করেন। এ আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে এইচআরপিবি আপিল বিভাগে আবেদন করে। এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে পক্ষভুক্তির আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন। সেই অনুসারে পক্ষভুক্ত হয় এইচআরপিবি।

এরপর হাইকোর্টে এ রুল শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার রায় দেওয়া হলো।

এফএইচ/কেএসআর/এমএস