ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে নীতিমালা চান হাইকোর্ট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:০৯ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না এবং ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে একটি নীতিমালা প্রণয়ন কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (২৩ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার। তাকে সহযোগিতা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাঈম হোসেন অয়ন, অ্যাডভোকেট খায়রুল বাশার, অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন ও ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি)।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার গত ৪ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের তিনজন আইনজীবীর পক্ষে রিটটি দায়ের করা হয়। ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার ছাড়া রিটকারীররা হলেন, ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি) ও অ্যাডভোকেট খায়রুল বাশার।

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, আইন সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, পুলিশের আইজিপি ও র‌্যাবের ডিজি এবং অর্থ সচিকে বিবাদী করা হয়।

রিটে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে শহীদ প্রত্যেকের পরিবারকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের প্রত্যেককে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের জন্য যুক্তরাজ্যের আদলে একটি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনাও চাওয়া হয়।

জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ও সংঘর্ষে ৬৫০ প্রাণ হারিয়েছেন ও হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। তবে সরকারের তথ্যানুযায়ী নিহতের সংখ্যা হাজারেরও বেশি। গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, আহতের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে চারশোর বেশি মানুষ চোখ হারিয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ মানুষ।

বিবাদীদের ব্যর্থতা ও অবহেলার কারণেই এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে বলে রিটে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার সাংবাদিকদের বলেন, রিটের গুরুত্ব বিবেচনা করে আদালত ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে রুল জারি করেছেন।

এফএইচ/এমকেআর/এএসএম