ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

অবকাশের পর সুপ্রিম কোর্ট খুলছে আজ, হাইকোর্টে ৫৪ বেঞ্চ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:১২ এএম, ২০ অক্টোবর ২০২৪

দেড় মাসের অবকাশ শেষে সুপ্রিম কোর্ট খুলছে আজ রোববার। সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাজ। এরপর সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ। এরইমধ্যে হাইকোর্টের ৫৪টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

পুনর্গঠিত বেঞ্চে নবনিযুক্ত ২৩ বিচারপতির মধ্যে ২১ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাকি দুজনকে আগেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

নতুন নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিরা হলেন, গোলাম মর্তূজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।

এদের মধ্যে গোলাম মর্তূজা মজুমদার এবং শফিউল আলম মাহমুদ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারিক দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে বুধবার (১৬ অক্টোবর) ছাত্র বিক্ষোভের মুখে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী তাদের বেঞ্চ দেওয়া হয়নি।

বেঞ্চ না পাওয়া ১২ বিচারপতি হলেন নাঈমা হায়দার, খুরশীদ আলম সরকার, মো. আতাউর রহমান খান, খিজির হায়াত, শাহেদ নূর উদ্দিন, এস এম মনিরুজ্জামান, মো. আখতারুজ্জামান, খোন্দকার দিলিরুজ্জামান, মো. আমিনুল ইসলাম, এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, আশীষ রঞ্জন দাস ও শেখ হাসান আরিফ।

নতুন বেঞ্চে কোন বিচারপতির কী দায়িত্ব:

বেঞ্চ পুনর্গঠনে দেওয়ানি বেঞ্চ হয়েছে ২১টি। মৃত্যুদণ্ডাদেশ কনফারমেশন ও ফৌজদারি মিলে হয়েছে ২১টি বেঞ্চ। রিট মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পড়েছে ১১টি বেঞ্চে। একটি করা হয়েছে অ্যাডমিরালটি ও কোম্পানি বেঞ্চ।

দেওয়ানি মামলার একক ও দ্বৈত বেঞ্চগুলোর বিচারকরা হলেন, শেখ আবদুল আউয়াল ও মো. মনসুর আলম; মো. রেজাউল হাসান ও মো. আবদুল মান্নান; শেখ মো. জাকির হোসেন ও আইনুন নাহার সিদ্দিকা; মো. রুহুল কুদ্দুস; ফরিদ আহমেদ; মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও তামান্না রহমান; কে এম কামরুল কাদের; মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও মো. বশির উল্লাহ; আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান; মাহমুদুল হক; মো. বদরুজ্জামান; জাফর আহমেদ; কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ ও মহি উদ্দিন শামীম; মো. জাকির হোসেন; কাজী এবাদত হোসেন; সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর; মো. সেলিম; এস এম কুদ্দুস জামান; কে এম জাহিদ সারওয়ার; মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী; বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

ফৌজদারি ও ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড কনফারমেশন) বেঞ্চের বিচারপতিরা হলেন, এ কে এম আসাদুজ্জামান ও সৈয়দ এনায়েত হোসেন (দুদক, ফৌজদারি, ডেথ রেফারেন্স); আব্দুর রব (ফৌজদারি মোশন), মো. হাবিবুল গণি ও সৈয়দ জাহেদ মনসুর (মৃত্যুদণ্ডাদেশ কনফারমেশন); গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও যাবিদ হোসেন (মৃত্যুদণ্ডাদেশ কনফারমেশন), জে বি এম হাসান ও মো. তৌফিক ইমাম (মৃত্যুদণ্ডাদেশ কনফারমেশন), মো. খসরুজ্জামান (ফৌজদারি); মোস্তফা জামান ইসলাম ও নাসরিন আক্তার (মৃত্যুদণ্ডাদেশ কনফারমেশন), শহীদুল করিম (ফৌজদারি); খিজির আহমেদ চৌধুরী (ফৌজদারি); ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও এ কে এম জহিরুল হক (ফৌজদারি); মো. সোহরাওয়ারদী (ফৌজদারি); এ এস এম আব্দুল মোবিন ও মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার (দুদক, মানিলন্ডারিংসহ ফৌজদারি); মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. সগীর হোসেন (দুদক মানিলনাডরিংসহ ফৌজদারি); মো. কামরুল হোসেন মোল্লা (ফৌজদারি); মো. আতোয়ার রহমান ও মো. আলী রেজা (ফৌজদারি, মৃত্যুদন্ডাদেশ কনফারমেশন), মোহাম্মদ আলী ও শেখ তাহসিন আলী (দুদক, মানিলন্ডারিং, ফৌজদারি), খায়রুল আলম (ফৌজদারি); কে এম হাফিজুল আলম ও কাজী জিনাত হক (মৃত্যুদণ্ডাদেশ কনফারেমেশন); মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও মো. হামিদুর রহমান (মৃত্যুদণ্ডাদেশ কনফারমেশন), মো. আতাবুল্লাহ (ফৌজদারি); কে এম ইমরুল কায়েশ (ফৌজদারি)।

রিট কোর্টের বিচারপতিরা হলেন, ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী; মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা; আশরাফুল কামাল ও কাজী ওয়ালিউল ইসলাম; মোহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়েজ আহমেদ; মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন; রাজিক আল জলিল ও সাথিকা হোসেন (ভ্যাট, শুল্ক, কাস্টমস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অর্থঋণ, এগুলো ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে রিট); ফাতেমা নজীব ও শিকদার মাহমুদুর রাজী; শশাঙ্ক শেখর সরকার ও এ কে এম রবিউল হাসান; মো. বজলুর রহমান ও মো. তাজরুল হোসেন (ভ্যাট, কাস্টমস, আয়কর, সম্পূরক শুল্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অর্থঋণ, এ সংক্রান্ত রিট), ফাহমিদা কাদের ও মুবিনা আসাফ; মো. ইকবাল কবীর ও মো. রিয়াজ উদ্দিন খান।

অ্যাডমিরালটি ও কোম্পানির একমাত্র বেঞ্চের দায়িত্ব পেয়েছেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল।

সুপ্রিম কোর্টোর আপিল বিভাগে ১ নম্বর বেঞ্চের পাশাপাশি ২ নম্বর বেঞ্চেও বিচারকাজ চলবে সোমবার (২১ অক্টোবর) থেকে। গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) আপিল বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২১ অক্টোবর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ২ নম্বর কোর্টের বিচার কার্যক্রম ২ নম্বর কোর্টের এজলাস কক্ষে যথারীতি পরিচালিত হবে।

এফএইচ/এসএনআর/এমএস