ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

হাসিনার পুনর্বাসনে মিছিল: জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:০৮ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

‘ফ্যাসিস্ট’ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অন্যদিকে হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ। আর ফ্যাসিবাদের দোসর বিচারপতিদের অবিলম্বে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটির লিগ্যাল উইং।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে পৃথকভাবে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিচারালয়ে (নিম্ন আদালতে) গতকাল (১৫ অক্টোবর) খুনি হাসিনার পুনর্বাসনের মিছিল করেছে। তাদের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের করার কিছু নেই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের অ্যারেস্ট করতে হবে।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজের ব্যানারে আইনজীবীরা সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা মিছিলও করেন। একপর্যায়ে তারা অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বিক্ষোভকারী আইনজীবীরা বলছেন, রাষ্ট্রের ভঙ্গুর অবস্থার জন্য দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিরাও দায়ী। এই বিচারপতিরা আওয়ামী লীগের নির্দেশ ও ইচ্ছাকে আইনে পরিণত করেছেন। তাদের জন্যই এত রক্তপাত হয়েছে। শেখ হাসিনা হাজারো ছাত্র-জনতাকে হত্যার সাহস পেয়েছে। এত মানুষকে গুম, খুন ও হত্যার দায় এই বিচারপতিদেরও। আমরা এই বিচারপতিদের স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা তা করেননি। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর বিচারপতিরা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।

আরও পড়ুন:

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ ইনকিলাম জিন্দাবাদ’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই,’ ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ,’ ‘স্বৈরাচারের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান,’ -ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে একটি মিছিল আদালত চত্বরে প্রবেশ করে।

পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশাল একটি মিছিল আসে। তারা অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

এসময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিচারপতি অপসরাণের সংশোধনী নিয়ে মামলাটি চলমান। আগামী ২০ তারিখ ওই মামলায় যদি সমাধান চলে আসে, তাহলে বিচারপতি অপসারণের দায়িত্ব হচ্ছে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের। রোববার বিকেল পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো। আমরা অবজার্ভ করবো।

এফএইচ/এমএইচআর/এমএস