দ্রব্যমূল্য সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কয়েকদিন বন্ধ থাকলেও সিন্ডিকেট আর চাঁদাবাজরা ভোল পাল্টে আবার সক্রিয় হয়েছে। এতে বাজারে সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি ও মজুতদার নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাদিম মাহমুদ এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী নিজে।
তিনি বলেন, অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দ্রব্যের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি।
নোটিশে বাণিজ্য উপদেষ্টা, কৃষি উপদেষ্টা, বাণিজ্য সচিব, কৃষি সচিব, কৃষি বিপণণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
- আরও পড়ুন
- চট্টগ্রামে ডিমের আড়ত বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা
- ব্যবসায়ীরা বলছেন ডিমের সংকট, সরকারের দাবি উদ্বৃত্ত
- ১০০ টাকার ওপরে সবজির কেজি, ডিমের দাম কিছুটা কমেছে
লিগ্যাল নোটিশে ১০ দিনের মধ্যে কৃষক পর্যায়ে থেকে সরাসরি পাইকারি বাজারে অবাধে পণ্য প্রবেশের পরিবেশ তৈরি করা, ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে তাদের আইনের আওতায় আনা, প্রতিটি বাজারে ব্যবসায়িক সমিতির নেতাদের জবাবদিহির আওতায় আনা, পাইকারি বাজারে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনার কথা বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আওতায় পর্যাপ্ত অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার বাস্তবিক ব্যবস্থা করা, অসাধু-মজুতদারদের আইনের আওতায় আনার জন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা এবং নোটিশ গ্রহীতাদের আওতাধীন সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর শুক্রবার ছাড়া অন্যান্য ছুটি বাতিল করে অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সংবিধান এর ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদ মোতাবেক জনগণের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করার জোর দাবি ও অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় নোটিশ গ্রহীতাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এফএইচ/বিএ/জিকেএস