ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানুর কারাগারে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় করা মামলায় রংধনু গ্রুপের পরিচালক ও রূপগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক মো. আশিকুর রহমান দেওয়ান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ মামলায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ভাটারা থানার যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন গত ১৮ সেপ্টেম্বর মিজানুরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক মো. আশিকুর রহমান দেওয়ান তার ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৩০ এপ্রিল মাহবুব রহমান মিধু বাদী হয়ে রংধনু গ্রুপের রফিকুল ইসলামসহ আটজনের নাম উল্লেখসহ খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন। মিজানুর এ মামলার ৪নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

আরও পড়ুন

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনি জনতাবদ্ধে আসামি রফিকের নির্দেশে মেসার্স ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড ও সিটি মাল্টি অ্যাগ্রিকালচারাল কোম্পানির সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করেন আসামিরা। সম্পত্তিতে থাকা সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে ও কেটে চুরি করে নিয়ে যান তারা।

এ সময় কোম্পানির সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা তিনজন নিরাপত্তাকর্মী বাধা দিলে আসামিরা এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি মেরে তাদের নীলা-ফুলা জখম করেন। আসামি কাওসার আহমেদ অপু মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করেন। এ সময় আসামিরা হুমকি দিয়ে বলেন- এ সম্পত্তির মালিক তারা। বলেন, ‘যদি এই সম্পত্তি দখলে রাখতে চাস, তাহলে তোদের বসকে বলবি পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দিতে হবে। যদি চাঁদা না দেয় তাহলে ভবিষ্যতে আরও লোকজন নিয়ে এসে এ সম্পত্তি দখল করে নেব এবং যে বাধা দেবে তাকেই মেরে লাশ গুম করে ফেলবো’।

আসামিরা কোম্পানির সম্পত্তিতে থাকা সাইনবোর্ড ভেঙে চুরি করে নিয়ে দুই লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

জেএ/এমএএইচ/এমএস