ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

তাজুল ইসলাম

কারও বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা মানেই তিনি আসামি নন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪০ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কারও বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিলেই তিনি আসামি হয়ে যাচ্ছেন না- এমন মন্তব্য করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

তিনি জানান, অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করে ট্রাইব্যুনালে আবেদন আকারে উপস্থাপনের পর মামলা হবে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানান তিনি।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে তাদের নিয়ে যাচাই-বাছাই ও তদন্ত করা হবে। তদন্তে প্রাথমিক প্রমাণ পেলে আসামি করা হবে গণহত্যার অভিযোগে।’

তিনি বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল এ মুহূর্তে ফাংশনিংয়ে নেই। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান করেছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়া প্রয়োজন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ না হলে যারা আসামি তাদের গ্রেফতার আদেশ যদি চাই, তাদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের কোর্টের আদেশ ছাড়া কঠিন।’

আরও পড়ুন

‘সরকারের কাছে আমরা অনুরোধ করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হোক। ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হলে কাজগুলো দ্রুত গতিতে এগোবে। আমাদের প্রস্তুতিগুলো এগোবে। সে চেষ্টা অব্যাহত আছে’, মন্তব্য করেন চিফ প্রসিকিউটর।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে নিরপেক্ষ বিচারক লাগবে। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচারক লাগবে। হাইকোর্ট ডিভিশনে বিচারক আছেন, যারা বিগত সরকারের আমলে নিয়োজিত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে তাদের যদি ট্রাইব্যুনালে আনা হয় তাহলে নানান দিক থেকে প্রশ্ন উঠতে পারে। আমরা চাই এমন সব বিচারক নিয়ে আসা হোক, যাদের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন নেই। সে কারণে সরকার নানান দিক বিবেচনা করছে। এ জন্য সময় লাগছে।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কোন বিচার আগে হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি যেগুলো সবচাইতে বেশি সেনসিটিভ, সেগুলো আগে করতে। ঢাকা শহরে সবচেয়ে বড় বড় হত্যাকাণ্ড যেগুলো হয়েছে, যেমন উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, মিরপুর ও আশুলিয়াতে হয়েছে। যেগুলো নির্মম হত্যাকাণ্ড এবং জাজ্বল্যমান সেগুলো আলাদা আলাদা করে তদন্ত করে দ্রুত বিচারের জন্য আগে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। ঢাকার বাইরে রংপুরের আবু সাঈদ হত্যা, সেটাও প্রায়োরিটি বেসিসে চেষ্টা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত সংস্থার কাছে বা প্রসিকিউশনের কাছে যেগুলো আসছে, সেগুলো সরাসরি মামলা না। সেগুলো অভিযোগ আকারে আসছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে আমরা যখন ট্রাইব্যুনালের কাছে পিটিশন আকারে উপস্থাপন করবো, তখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনের অধীনে মামলা হবে। সে মামলা হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযোগে কারও নাম আসলে তিনি আসামি হয়ে যাচ্ছেন না। ম্যাজিস্ট্রট কোর্ট বা থানার ব্যাপার আলাদা। আমরা যাচাই-বাছাই করে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করবো। এখানে ভুল-ভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

এফএইচ/কেএসআর/এমএস