ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

চিফ প্রসিকিউটর

যাদের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন নেই তারা ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৪৫ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজের জন্য আমরা চাই এমন সব বিচারক নিয়ে আসা হোক যাদের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন নেই।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে এমন তথ্য জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা সরকারের কাছে আহ্বান করেছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়া প্রয়োজন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ না হলে এই যে যারা আসামি আছেন তাদের গ্রেফতার আদেশ যদি চাই, তাদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের কোর্টের আদেশ ছাড়া কঠিন।

তিনি বলেন, সরকারের কাছে আমরা অনুরোধ করছি দ্রুত ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হোক। ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হলে কাজগুলো খুব দ্রুত আগাবে। আমাদের প্রস্তুতিগুলো আগাবে। সে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

অন্য প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এখানে নিরপেক্ষ বিচারক লাগবে। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচারক লাগবে। হাইকোর্ট ডিভিশনে বিচারক আছেন। যারা বিগত সরকারের আমলে নিয়োজিত হয়েছেন। স্বাভাবকিভাবে তাদের যদি ট্রাইব্যুনালে আনা হয় তাহলে নানা দিক থেকে প্রশ্ন উঠতে পারে। আমরা চাই এমন সব বিচারক নিয়ে আসা হোক যাদের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন নেই। সে কারণে সরকার নানা দিক বিবেচনা করছেন। এ জন্য সময় লাগছে।

কোন বিচারগুলো আগে হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সব চেয়ে বেশি সেনসেটিভ তথা বড় বড় নির্মম হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করে বিচারের জন্য আগে আনা হবে।

আমরা চাচ্ছি যে যেগুলো সব চেয়ে বেশি সেনসেটিভ সেগুলো আগে করতে। ঢাকায় সবচেয়ে বড় বড় হত্যাকাণ্ড যেগুলো হয়েছে- যেমন উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, মিরপুর ও আশুলিয়ায় হয়েছে। যেগুলো নির্মম হত্যাকাণ্ড সেগুলো আলাদা আলাদা করে তদন্ত করে দ্রুত এগুলো বিচারের জন্য আগে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। ঢাকার বাইরে রংপুরের আবু সাঈদ, সেটাও প্রায়োরিটি দিয়ে চেষ্টা করা হবে।

তদন্ত সংস্থার কাছে বা প্রসিকিউশনের কাছে যেগুলো আসছে সেগুলো সরাসরি মামলা না। সেগুলো অভিযোগ আকারে আসছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে আমরা যখন ট্রাইব্যুনালের কাছে পিটিশন আকারে উপস্থাপন করেবা তখন আন্তর্জজাতিকব অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনের অধীনে মামলা হবে। সে মামলা হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযোগে কারও নাম আসলে তিনি আসামি হয়ে যাচ্ছেন না। ম্যাজিস্ট্রট কোর্ট বা থানার ব্যাপার আলাদা। আমরা যাচাই বাছাই সাপেক্ষে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করবো। এখানে ভুল ভ্রান্তি হওয়ার সম্ভবনা নেই।

এফএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম