ভারসাম্য আনতে সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ: অ্যাটর্নি জেনারেল
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট কর উল্লেখ করে এই অনুচ্ছেদের সংশোধনী জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, শাসন, আইন ও বিচার বিভাগের ভারসাম্য আনার জন্যই সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সাংবিধানিকভাবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বৈধ। আইন মেনেই সবকিছু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হ্রাস এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ সংবিধান সংশোধন করা খুবই জরুরি বলেও মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নয়। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণেই কার্যত বাংলাদেশের আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। সংবিধান সংস্কার কমিশন বিষয়গুলো দেখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিচার বিভাগ ও সংবিধান সংস্কারে প্রধান উপদেষ্টা যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
- আরও পড়ুন
- সংবিধান সংস্কার কমিশনের দায়িত্বে শাহদীন মালিক, আরও ৫ কমিশনে যারা
- দ্রুত সংস্কার শেষে নির্বাচন দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, আশা ফখরুলের
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট শাসন ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রস্তাব সময়োপযোগী।
প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ বিচারকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য বিচার বিভাগের সংস্কার জরুরি বলেও জানান মো. আসাদুজ্জামান।
রাজনৈতিক দল থেকে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া সংক্রান্ত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন তাহা হইলে সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সংসদ সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।’
এফএইচ/ইএ/এএসএম