ইয়ামিন হত্যা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফী পাঁচদিনের রিমান্ডে
ঢাকার সাভারে শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহহিল কাফীর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ইয়ামিন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) শিক্ষার্থী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুডিসিয়াল মো. জুলহাস উদ্দীন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন রাজধানীর হাজারীবাগ থানার অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় আটদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর সাভারের ইয়ামিন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর অনুমতি চান। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর অনুমতি দেন।
পরে তাকে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুডিসিয়াল মো. জুলহাস উদ্দীনের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফীকে গ্রেফতার দেখানো পূর্বক সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহহিল কাফীকে আটক করেন ডিবি সদস্যরা। পরদিন রাজধানীর হাজারীবাগ থানার অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় তার আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন
- হত্যার পরে লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফী আটক
- হত্যার পরে মরদেহে আগুন: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফী বরখাস্ত
- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফীকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে
গত ২৫ আগস্ট ইয়ামিনের বাবা আব্দুল্লাহ আল কাবির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মলনে আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এতে তিনি বাংলদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আন্দোলনকারীদের নির্মূলের নির্দেশ দেন। আসামি ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনকারী ছাত্রদের নির্মূল করার জন্য ছাত্রলীগ যথেষ্ট। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ জুলাই দুপুর দেড়টায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সম্মিলিতভাবে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে। তারা শাইখ আসহাবুুল ইয়ামিনকে ধরে টেনে পুলিশের সাজোয়া যানের কাছে নিয়ে বুকের বামপাশে গুলি করে।
এমতাবস্থায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ইয়ামিনকে টেনে পুলিশের সাজোয়া যানের ওপর ফেলে রেখে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে ভীতি প্রর্দশনের জন্য গাড়িটি চালাতে থাকে। পরে ইয়ামিনকে প্রায় মৃত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দেয় এবং সাজোয়া যানের ভেতর থেকে একজন পুলিশ সদস্য বের হয়ে তার পায়ে পুনরায় গুলির নির্দেশ দেন। ওই পুলিশ সদস্য ইয়ামিনকে মৃত ভেবে গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে নিয়ে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেন। পুলিশ সদস্যরা গুলিবিদ্ধ শাইখ ইয়ামিনকে ধরাধরি করে উঁচু রোড ডিভাইডারের এক পাশ হতে আরেক পাশে ছুড়ে ফেলেন। পরে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জেএ/ইএ/এএসএম