ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

চট্টগ্রাম

৯ বছর আগে মারা যাওয়া সুমন হত্যা মামলার আসামি!

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ১২:৩২ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুরে গুলিতে ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী মো. ফারুক (৩২) নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় আবুল হাসেম সুমন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তবে আসামি সুমন ২০১৫ সালে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগে দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর ছেলে মেহেদী হাসান আকাশ। মামলার পর থেকে পুলিশ মৃত সুমনের পরিবারকে হেনস্তা করছে বলে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে। আদালত এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, গত ১৬ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে নিহত হন মো. ফারুক। এ ঘটনায় ২৮ আগস্ট নিহত ফারুকের বাবা মো. দুলাল বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত ১৯৩নং আসামি করা হয় নিহত আবুল হাসেম সুমনকে। অথচ ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মারা যান সুমন। একই মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, রাউজানের সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ২৬৯ জনকে আসামি করা হয়। পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নিহত দোকান কর্মচারী মো. ফারুক চট্টগ্রাম নগরের শুলকবহর ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী ছিলেন। ওইদিন বিকেল ৩টার দিকে দোকান থেকে নগরের বহদ্দারহাটে ভাত খাওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন তিনি। পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ফারুক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আখতারুজ্জামান বলেন, ‘মামলার এজাহারে আসামির নাম দিয়েছেন বাদী। নাম দিয়েছেন বলেই পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করবে তা নয়। ঘটনার তদন্ত হবে। কে বা কারা ফারুক হত্যায় জড়িত তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। পুলিশ বাসায় গিয়ে মারা যাওয়া সুমনের পরিবারকে হেনস্তার অভিযোগ সঠিক নয়।’

এএজেড/ইএ/এমএস