ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

শিক্ষার্থীদের হয়রানি: শাহবাগ থানার এসআই আশরাফুলকে আইনি নোটিশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫৫ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগে ঢাকার শাহবাগ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল সিকদারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গত ১৫ মার্চে এ পুলিশ কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক মিনহাজুল ইসলাম আইনজীবীর মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠান। ভুক্তভোগীর পক্ষে নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সবুজ।

ঘটনার সাড়ে পাঁচ মাস পর আইনি নোটিশ পাঠানোর বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘যখন আমাদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে তখন স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় ছিল। যেহেতু পুলিশ তখন তাদের সেবাদাস প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল, তাই তখন আমরা নিজেদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেইনি। এখন যেহেতু বাকস্বাধীনতা ও আইনের আশ্রয় গ্রহণের সুযোগ ফিরে এসেছে, তাই এখন এ পদক্ষেপ নিয়েছি।’

নোটিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী নারীর ওপর ভাষিক আক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছিলেন। তাদের লিফলেট বিতরণের উদ্দেশ্য ছিল সমাজে একে অন্যের ওপর ক্ষিপ্ত হলে কেউ যেন কারও মাকে নিয়ে খারাপ গালি না দেয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে লিফলেট বিতরণ করতে করতে পল্টন মোড়ের দিকে এগোন শিক্ষার্থীরা। এসময় মেট্রোরেলের সচিবালয় স্টেশনের নিচে আসলে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আশরাফুল সিকদার তাদের গতিরোধ করেন এবং সরকারবিরোধী লিফলেট মনে করে শিক্ষার্থীদের মোবাইল চেক করতে থাকেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে এই পুলিশ কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের গালি দেন ও গ্রেফতার করতে উদ্যত হন। পরে ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তার অনুরোধে শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেন এসআই আশরাফুল সিকদার।

এ ঘটনায় বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদে সংরক্ষিত বাকস্বাধীনতার অধিকার খর্ব হয় বলে আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে এ নোটিশের জবাব না দেওয়া হলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয় নোটিশে।

ভুক্তভোগীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, ঘটনার দিন শাহবাগ থানার এসআই আশরাফুল সিকদার যে কাজ করেছেন, সেটি বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। তিনি শিক্ষার্থীদের গলা টিপে বাকস্বাধীনতার অধিকার হরণ করেছেন। আমরা তাকে ক্ষমা চেয়ে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছি। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবো।

জেএ/কেএসআর/জিকেএস