ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ফেসবুক লাইভে বিচার বিভাগ নিয়ে বক্তব্য

ব্যারিস্টার আশরাফের আন্ডারটেকেন, আদেশ আজ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:১১ এএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফেসবুক লাইভে এসে হাইকোর্টের একজন বিচারপতি ও কয়েকজন আইনজীবীকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় ব্যারিস্টার এম. আশরাফুল ইসলাম আশরাফকে তলব করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তলবের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) তিনি আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত প্রতিশ্রুতি (আন্ডারটেকেন) দিয়েছেন বিচারবিভাগ নিয়ে ফেসবুক লাইভে কোনো বক্তব্য দেবেন না।

এরপর প্রথমদিন শুনানি শেষে এ বিষয় আদেশ দেওয়ার জন্য আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আদালত অবমাননার বিষয়ে শুনানিতে রোববার (১ সপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ আদেশের এদিন ঠিক করেন।

আদালতে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। অন্যদিকে, ব্যারিস্টার এম. আশরাফুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। আর রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে ফেসবুক লাইভে এসে হাইকোর্টের একজন বিচারপতি ও কয়েকজন আইনজীবী নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় ব্যারিস্টার এম. আশরাফুল ইসলাম আশরাফকে তলব করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ২৯ আগস্ট তাকে সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়।

একই সঙ্গে, ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত সব কোর্টে মামলা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দেন আপিল বিভাগ। ফেসবুক থেকে তার ভিডিও সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশও দেন আদালত।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে রোববার (৯ জুন) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ওইদিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন।

এ বিষয়ে আবেদনকারীর আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আইনজীবী মো. আশরাফুল ইসলাম আশরাফ বিচার বিভাগ, বিচারপতিদের ক্রমাগতভাবে আদালত অবমাননামূলক বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তার বিরুদ্ধে কয়েকজন আইনজীবী আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ তলব করেন। একই সঙ্গে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত তাকে আইন পেশা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দেন। সঙ্গে সঙ্গে তার দেওয়া বক্তব্য সরানোর জন্য বিটিআরসিকে বলা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় তলবে তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে আদালত অবমাননার মামলায় হাজির হন।

এফএইচ/এসএনআর/জিকেএস