ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায়: রিভিউতে পক্ষভুক্ত হলেন পাঁচজন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪৭ এএম, ২৬ আগস্ট ২০২৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল এবং সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) প্রস্তুত করা হয়েছে। ৫০ পৃষ্ঠার মূল রিভিউ আবেদনের সঙ্গে নথিপত্র মিলিয়ে ৮০০ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। রিভিউতে পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ ৫ জন আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

রোববার (২৫ আগস্ট) চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন বলে রিভিউকারীদের আইনজীবী শরীফ ভূইয়া জানান।

সাংবাদিকদের তিনি জানান, এ মামলায় পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য দায়ের করা আবেদন শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত তাদের অনুমতি দিয়েছেন। আগামী মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ বিষয়ে রিভিউ দায়ের করা হবে।

আইনজীবী শরিফ ভূইয়া বলেন, এটি সাংবিধানিক ভুল। যার কারণে বাংলাদশের নাগরিকদের কাছ থেকে ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। বিগত ১২ বছর এ রায়ের রিভিশনের জন্য কেউ আসেনি। আপিল বিভাগ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে এ সংশোধনী পুনরায় বিবেচনা করবেন বলে প্রত্যাশা।

এ নিয়ে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিচারপতি এ বি এম খাইরুল হক স্বার্থপ্রণোদিত হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাওয়াতেই পুর্ণাঙ্গ রায় দিয়েছিলেন। যার পরিবর্তন বাঞ্ছনীয়। তাই আমরা আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করবো।

২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে পরবর্তী ১০ম ও ১১তম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে মতামত দেন আদালত। আর এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে সংসদে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন খায়রুল হক।

তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবলিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ওই বছরের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এরপর ২০০৫ সালে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন অ্যাডভোকেট সলিম উল্লাহ। দীর্ঘ বিরতির পর শুনানি হয়। আদালত এ মামলায় আটজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ করে তাদের মতামত শোনেন।

তাদের মধ্যে পাঁচজন সরাসরি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পক্ষে মত দেন। তারা হলেন- ড. কামাল হোসেন, টিএইচ খান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ও ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ।

অপর অ্যামিকাস কিউরি ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে মত দেন। ব্যারিস্টার মরহুম রফিক-উল-হক ও ড. এম জহির তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের পক্ষে মত দিয়ে তাদের প্রস্তাব আদালতে তুলে ধরেন। এছাড়া তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার পক্ষে মত দেন।

এফএইচ/এমএইচআর/জেআইএম