পিলখানা হত্যাকাণ্ড
শেখ হাসিনা-আজিজসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে কারা অভ্যন্তরে বিডিআরের সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেনাপ্রধান (হত্যাকাণ্ডের সময় বিজিবি প্রধান) জেনারেল আজিজ আহমেদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে বাদী হয়ে মামলার জন্য এ আবেদন করেন ভুক্তভোগী ডিএডি আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ। এ বিষয়ে এখনো আদেশ দেননি আদালত।
বর্তমান সরকারের সময় পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথম মামলা হতে যাচ্ছে এটি। এ মামলার আবেদনে জেনারেল আজিজ আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় আসামি হলেন- বিডিআর বিদ্রোহের মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল, আসামির তালিকায় শেখ হাসিনা রয়েছেন চতুর্থ স্থানে।
আরও পড়ুন
- শেখ হাসিনা ও মন্ত্রী-এমপি-পুলিশ-সাংবাদিকসহ আসামি ৪৯৩
- শিক্ষার্থী ইয়ামিন হত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- টিসিবির পণ্য বিক্রেতা হত্যা, শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম খাঁন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক এমপি নূরে আলম চৌধুরী লিটন, শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন জেলসুপার, ডাক্তার রফিকুল ইসলামসহ অন্য ডাক্তার। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মন্ত্রী এমপিসহ আরও ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসক হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে তাদের বিদেশি এজেন্ট দ্বারা ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ও বাংলাদেশ রাইফেলসের মেধাবী অফিসারদের হত্যা করে। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য ভুক্তোভোগীকে বিভিন্ন লোভনীয় অফার দেওয়া হচ্ছিল। তবে তিনি অন্যায় ও মিথ্যা রাজসাক্ষী দিতে চাননি। তাই বাদীর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডিএডি আব্দুর রহিমকে ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় করাগারে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। পরে কারাগারে ডাক্তাররা স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে সার্টিফিকেট দেন। আব্দুর রহিমের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে এ মামলা দায়র করা হয়।
জেএ/বিএ/জেআইএম