ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

অধিকারের নিবন্ধন নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৪৪ পিএম, ২২ আগস্ট ২০২৪

মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন অধিকারের নিবন্ধন নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর ও আপিল খারিজের সিদ্ধান্ত আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ রায়ের ফলে অধিকারের নিবন্ধন নবায়নে বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছেন আবেদনকারীর আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া।

এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আহসানুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আইনুন নাহার সিদ্দিকা।

এর আগে ২০২২ সালের ৫ জুন অধিকারের নিবন্ধন নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর করে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো। তাদের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর আপিল করা হয়। ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর আপিল খারিজ হয়। এ দুই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে অধিকারের পক্ষে সভাপতি ড. সি আর আবরার একই বছরের ১৮ অক্টোবর রিট করেন।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দেন। নিবন্ধন নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর এবং এর বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। শুনানি নিয়ে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে আজ রায় দেওয়া হলো।

এ বিষয়ে আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, অধিকার ১৯৯৫ সালে এনজিও ব্যুরো থেকে নিবন্ধন পেয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তিন দফা নিবন্ধন নবায়ন করা হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগে ২০১৪ সালে নিয়ম অনুসারে সব কাগজপত্র, ফিসহ নবায়নের জন্য এনজিও ব্যুরোতে আবেদন করা হয়। কিন্তু বারবার তাগিদ সত্ত্বেও ব্যুরো নিবন্ধন নবায়ন করেনি।

এ অবস্থায় ২০১৯ সালে রিট করে অধিকার। রিট শুনানির মধ্যে বেআইনিভাবে এনজিও ব্যুরো ২০২২ সালের ৫ জুন নবায়ন আবেদন নামঞ্জুর করে দেয়। এমন প্রেক্ষাপটে কার্যকারিতা হারানোয় রিটটি তুলে নেওয়া হয়। নবায়ন আবেদন নামঞ্জুরের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে আপিল করা হয়। আপিল নামঞ্জুর হয়। এ দুই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ২০২২ সালে রিট করা হয়।

এফএইচ/কেএসআর/জেআইএম