ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

মেয়র তাপসের আদালত অবমাননার শুনানি কার্যতালিকায়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫৩ এএম, ১৯ আগস্ট ২০২৪

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আজকের কার্যতালিকায় রয়েছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও আদালতে প্রদর্শিত হওয়ার কথা রয়েছে।

গত বছরের ১৪ আগস্ট আবেদনকারী আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ বিষয়ে শুনানির আদেশ দেন। ওইদিন সুপ্রিম কোর্টের আপেল বিভাগে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব।

‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’ মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের এমন বক্তব্য নিয়ে আপিল বিভাগে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

এর আগে গত বছরের ২০২৩ সালের ৫ জুন আপিল বিভাগ মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানির জন্য ১৪ আগস্ট দিন ধার্য করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য আসে।

২০২৩ সালের ২৪ মে ‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’ মেয়র তাপসের এমন বক্তব্য সংবলিত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালতের নজরে আনেন সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

ওই দিন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চে পত্রিকায় প্রকাশিত ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের কিছু বক্তব্য নজরে আনেন তিনি। তিনি আদালতে ওই দিন বলেছিলেন, করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত উদ্ধত্যপূর্ণ। এটা আদালত অবমাননার শামিল।

প্রকাশিত প্রতিবেদনের অংশবিশেষ পড়ে শোনান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আমীর–উল ইসলাম। সেদিন আমীর-উল ইসলাম প্রতিবেদনের অংশবিশেষ পড়ে শোনান, ‘...মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। যেখানে মুগুর দেওয়ার সেটিও জানি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম।’ ওই বছরের ২১ মে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এমন মন্তব্য করেন বলে উল্লেখ করেন আমীর-উল ইসলাম। সেদিন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা পড়ি, পড়ে দেখি।’

একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’-মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের দেওয়া এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে ধরে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০২৩ সালের ৪ জুন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক (অন্তবর্তীকালীন) কমিটির সদস্য সচিব শাহ আহমেদ বাদল আবেদনে করেন।

আবেদন করার বিষয়ে আইনজীবী শাহ আহমেদ বাদল জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে আনা হয়েছিল। তবে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনটি করা হয়েছে। আদালত অবমাননার জন্য শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রতি কারণ দর্শাতে নোটিশ জারি এবং তাকে আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশনা দেওয়ার আরজি রয়েছে আবেদনে। আপিল বিভাগে আজ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

এফএইচ/জেএইচ/জেআইএম