ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি

শান্ত-মারিয়ামের শিক্ষক কামালের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৭ সেপ্টেম্বর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২৪

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রশি কামালের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (১১ আগস্ট) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

পল্লবী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই সেলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চার দিনের রিমান্ড শেষে ২২ এপ্রিল আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

অনলাইনে উত্ত্যক্ত ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে শিক্ষক রশি কামালের বিরুদ্ধে ঢাকার পল্লবী থানায় গত ১৮ এপ্রিল মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা।

মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে আমার একটি গবেষণা ইন্দোনেশিয়ান জার্নাল অব সোশ্যাল রিসার্চ নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়। গত ১৭ মার্চ বর্তমান বাসায় অবস্থানকালে আমার ব্যক্তিগত ই-মেইলে আমার প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি চেয়ে আসামি রশি কামাল তার মেইল থেকে অনুরোধ করেন।

তিনি শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন বলে পরিচয় দেন। আসামির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আমি আমার গবেষণাপত্রটি তার মেইলে পাঠিয়ে দেই। আমার গবেষণাপত্রটি আসামি পড়ে এবং আমার খুব প্রশংসা করে একটি কনফারেন্সে প্রকাশের জন্য আমার সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমার কাছে আসামি সিভি চাইলে আমি তা দিই।

পরে আমি তার রিসার্চ গেটের লিংক চাইলে তিনি তার ই-মেইল থেকে আমার ই-মেইলে পাঠান। আমি তার গবেষণাপত্রগুলো পড়ে বুঝতে পারলাম, তার গবেষণাগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং সংক্রান্ত, যা আমার গবেষণার বিষয় থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ফলে আমি তার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করিনি। তবুও তিনি আমার সঙ্গে স্কাইপিতে ভিডিও কলে কথা বলার জন্য বারবার অনুরোধ করেন, কিন্তু আমি ভিডিও কলে কথা বলতে রাজি হইনি।

এরপর গত ২৯ মার্চ রাত ১টা ৪ মিনিটে আসামি আমাকে ফোন দেন এবং যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ফোন রেখে দেন। আসামি হোয়াটসঅ্যাপসহ আমার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়ে নিজেকে রশি কামাল পরিচয় দিয়ে আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ মার্চ রাত অনুমান ১টা ৪ মিনিট থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আসামির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে অশ্লীল যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ধর্ষণ করার হুমকি দেন।

এসময় হোয়াটসঅ্যাপে পর্নো ছবি পাঠান আসামি। আমি আসামিকে এমন আচরণের কারণ জানতে চাইলে তিনি আমাকে গালিগালাজ করেন এবং নোংরা ছবি নেট দুনিয়ায় ছেড়ে দিয়ে আমার মান-সম্মান ও সামাজিক মর্যাদাহানি করবেন বলে হুমকি দেন।

মামলার এজহারে রশি কামালকে শান্ত-মারিয়ামের শিক্ষক উল্লেখ করা হলেও শান্ত-মারিয়াম কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, তিনি অনেক আগে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ছিলেন। বর্তমানে তিনি শান্ত-মারিয়ামে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত নেই।

জেএ/এমকেআর/জেআইএম