ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

এক বিচারপতি অসুস্থ

শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি না চালানোর রিট শুনানি হচ্ছে না আজ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৩৪ এএম, ৩১ জুলাই ২০২৪

বিক্ষোভকারী বা আন্দোলনকারীদের ওপর মরণঘাতী গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে আরও শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল আজ। কিন্তু হাইকোর্টের ওই বেঞ্চের একজন বিচারপতি অসুস্থ থাকায় আজ সেটির শুনানি হচ্ছে না।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটের শুনানি হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আজ (৩১ জুলাই) আবার শুনানির দিন ধার্য করেন।

কিন্তু আজ এক বিচারপতি অসুস্থ থাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা ও কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটের আদেশ ও শুনানি হবে না।

বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে সংশিষ্ট আদালতের কনিষ্ঠ বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন প্রধান বিচারপতির কাছে ছুটি নেন। সেখানে অসুস্থতার কারণ দেখান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রধান বিচারপতির দপ্তর।

মঙ্গলবার বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেনকে ফের ৬ মাসের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায় ,দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি না চালাতে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কথিত আটক’ ছয় সমন্বয়ককে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপর তৃতীয় দিনের মতো বুধবার (৩১ জুলাই) শুনানি হচ্ছে না।

এদিকে ,সকাল সাড়ে ১০টার পর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চের এক কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিনকে এক বিচারপতির অসুস্থতার কথা জানান। তাই আজ দ্বৈত বেঞ্চ বসবেন না। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল ওই বিচারকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন এবং আইনজীবী অনীক আর হক উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী এ রিট করেন। তারা হলেন, আইনজীবী মনজুর-আল-মতিন এবং আইনুন্নাহার সিদ্দিকা। রিটে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

রুলে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরাসরি তাজা গুলির ব্যবহার কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং তাজা গুলি ব্যবহার না করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

একই সঙ্গে তথাকথিত নিরাপত্তার নামে হেফাজতে নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দ্রুত মুক্তি দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রিটে সে মর্মেও রুল চাওয়া হয়েছে।

এফএইচ/এসএনআর/জিকেএস