ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আদালত অবমাননার অভিযোগ

আইনজীবী মহসিন রশিদ ও বাদলের বিষয়ে আদেশ ২৯ আগস্ট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:০৪ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২৪

প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া একটি চিঠির কিছু বক্তব্যে অবমাননাকর ভাষা ব্যবহারে বিচার বিভাগের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে বলে আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবীর বিষয়ে আগামী ২৯ আগস্ট আদেশের দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে রোববার (২৮ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে এ দিন ঠিক করে আদেশ দেন। এসময় সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন রশীদ ও আইনজীবী শাহ আহমেদ বাদল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে তাদের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী ওয়াজিউল্লাহ।

এর আগে গত ৩০ জুন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন রশীদ ও আইনজীবী শাহ আহমেদ বাদল উপস্থিত হয়ে এ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান।

আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করে আইনজীবী মহসিন রশিদ বলেন, ‘আমরা মাফ চাচ্ছি। খুবই দুঃখিত। এ ধরনের চিঠি আর লিখবো না।’ এরপর এ বিষয়ে শুনানি ও আদেশের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।

গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ১ থেকে ৭ জানুয়ারি আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

ওই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল গত ১ জানুয়ারি আদালত বর্জন কর্মসূচি নিয়ে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে চিঠি দেন। পরদিন এ চিঠি প্রধান বিচারপতির দপ্তরে উপস্থাপন করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, আদালত বর্জন কর্মসূচি চলাকালে মামলা সংশ্লিষ্ট যেসব আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিতে অথবা নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, সেসব মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের অনুপস্থিতিতে মামলা খারিজ বা বিরুপ আদেশ দেওয়া উচিত হবে না।

এ চিঠি নিয়ে দেওয়া আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, চিঠিতে কিছু অবমাননাকর বিবৃতি (শব্দ ও বাক্য চয়ন) রয়েছে যা প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রবিরোধী এবং সামগ্রিকভাবে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি, অবস্থান এবং মর্যাদার প্রতি অবমাননাকর বলে মনে হয়েছে।

পরে গত ৩ জানুয়ারি এ দুই আইনজীবীকে হাজির হতে বলা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। ওই আদেশ অনুযায়ী এই দুই আইনজীবী ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগে হাজির হন।

গত ১১ জানুয়ারি তাদেরপক্ষে সময় আবেদন করলে আদালত ব্যাখ্যা দিতে দুই আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দেন। এ সময়ে তারা সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলেও আদেশ দেন।

এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম