ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

প্রশ্নফাঁস: আবেদ আলীসহ চারজনের জামিন নামঞ্জুর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৩৭ পিএম, ১১ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় করা মামলায় পিএসসির সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনসহ চার আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর তিন আসামি হলেন- পিএসসির অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান, ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল ও লিটন সরকার।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আসামিদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।

এর আগে ৯ জুলাই গ্রেফতার ১৭ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় আবেদ আলীসহ ছয়জন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

অন্যদিকে পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবিরসহ ১১ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- পিএসসির গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান ও ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল।

এ নিয়ে গত ৮ জুলাই রাজধানীর পল্টন থানায় এ আইনের ১১/১৫ ধারায় মামলা করেন সিআইডির উপ-পরিদর্শক নিপ্পন চন্দ্র দাস। মামলায় সৈয়দ আবেদ আলীসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি আরও ৫০ থেকে ৬০ জন। অভিযোগ প্রমাণ হলে আবেদ আলীসহ আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে ১০ বছরের কারাদণ্ড।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, আসামিরা সংঘবদ্ধ চক্র হিসেবে বিগত বছরগুলোতে বিসিএসসহ পিএসসির বিভিন্ন গ্রেডের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র টাকার বিনিময়ে ফাঁস করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এ তথ্য স্বীকার করেছেন।

এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, চক্রটি বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (নন ক্যাডার)-সহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগে অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করেন। এরপর সেগুলো অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করেন। গ্রেফতার আসামিরাসহ জড়িত অন্যরা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ এর ১১/১৫ ধারায় অপরাধ করেছেন বিধায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

জেএ/এমএইচআর/জেআইএম