ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের রিট তালিকা থেকে বাদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৪১ পিএম, ০৭ জুলাই ২০২৪

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিদেশে বিপুল সম্পদের যে তথ্য সংবাদমাধ্যমে এসেছে তার অনুসন্ধান চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন কার্যতালিকা (কজলিস্ট) থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (৭ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান এবং বিচারপতি একেএম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন রিগ্যান। তিনি আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিদেশে বিপুল সম্পদের যে তথ্য সংবাদমাধ্যমে এসেছে তা অনুসন্ধান চেয়ে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান। সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্রে ২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা এবং যুক্তরাজ্যে ৬৬ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য যুক্ত করে গত ৯ মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করা হয়।

এর আগে এই আইনজীবী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছিলেন। দুদক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।

অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন রিগ্যান জনস্বার্থে এ রিট আবেদন দায়ের করেন। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, কমিশনার (অনুসন্ধান), কমিশনার (তদন্ত) ও কমিশনের সচিবকে বিবাদী করা হয়।

আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। একই দিন আরও একটি পত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এই সংবাদ প্রকাশের পরও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান না করায় এ রিট দায়ের করেন বলে জানান এই আইনজীবী।

তিনি বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও এ বিষয়ে বিবাদীরা কেন অনুসন্ধান করেননি তা জানতে চাওয়া হয়। অনুসন্ধান না করা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত বলে ঘোষণা করা হবে না রিটে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিও রিট আবেদনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ গত জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে তার মালিকানাধীন কোম্পানি প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। যুক্তরাজ্যের কোম্পানি হাউস করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে এ পরিসংখ্যান পেয়েছে বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গ।’

ব্লুমবার্গের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের বরাতে এতে বলা হয়, ‘মধ্য লন্ডনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে ইংল্যান্ডে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বৃহত্তম আবাস টাওয়ার হ্যামলেটস এবং লিভারপুলে ছাত্রদের আবাসন পর্যন্ত বিস্তৃত তার সাম্রাজ্য। জাভেদের প্রায় ২৫০টি সম্পত্তি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ নতুন অবস্থায় কেনা হয়।’

গত সংসদ নির্বাচনের আগে ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রিসভার অন্তত একজন সদস্যের নিজ নামে বিদেশে একাধিক কোম্পানি থাকার প্রমাণ রয়েছে, যার প্রতিফলন হলফনামায় নেই। মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর মালিকানাধীন ছয়টি কোম্পানি এখনো বিদেশে সক্রিয়ভাবে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। যেসব কোম্পানির মোট সম্পদমূল্য প্রায় ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা।’

এফএইচ/ইএ/জিকেএস