ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আট ধারায় ড. ইউনূসের বিচার, অপরাধ প্রমাণ হলে হতে পারে যে সাজা

জাহাঙ্গীর আলম | প্রকাশিত: ০৫:৪৩ পিএম, ১৪ জুন ২০২৪

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ও মানিলন্ডারিং আইনের আট ধারায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ গঠন করে সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আইন অনুযায়ী সাক্ষ্য শেষে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন, রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। এসব ধারায় অভিযোগ প্রমাণ হলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল।

গত ১২ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসময় ড. ইউনূসসহ ১৪ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। এরপর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত।

যে অপরাধে যে সাজা

দুষ্কর্মে সহায়তা
১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো অপরাধে সহায়তা করলে এবং আইনে ওই সহায়তাকারীর শাস্তির কোনো সুস্পষ্ট বিধান যদি না থাকে, তাহলে ওই অপরাধের জন্য যে দণ্ডের বিধান, সহায়তাকারীও একই দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী যদি তার পদমর্যাদাবলে অথবা ব্যাংকার, ব্যবসায়ী দালাল বা প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবসাসূত্রে কোনো সম্পত্তির জিম্মাদার হয়ে বা ওই সম্পত্তি পরিচালনের ভারপ্রাপ্ত হয়ে সে সম্পত্তি সম্পর্কে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করেন, তবে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে অথবা ১০ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই সঙ্গে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

আরও পড়ুন

প্রতারণার শাস্তি সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড
১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি প্রতারণা করেন এবং প্রতারিত ব্যক্তিকে অসাধুভাবে অপর কারও সম্পত্তি বা অংশবিশেষ প্রণয়ন, পরিবর্তন বা বিনাশ সাধনে প্রবৃত্ত করেন তাহলে তিনি সাত বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়া অসাধুভাবে প্রতারিত ব্যক্তিকে এমন কোনো স্বাক্ষরিত বা সিল মোহরযুক্ত বস্তুর সমুদয় অংশ বা অংশবিশেষ প্রণয়ন, পরিবর্তন বা বিনাশ সাধনে প্রবৃত্ত করে যা মূল্যবান জামানতে রূপান্তরযোগ্য, তবে ওই ব্যক্তি সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই সঙ্গে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

মূল্যবান জামানত ও উইল জাল করার শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪৬৭ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি এমন দলিল জাল করেন যা একটি মূল্যবান জামানত কিংবা উইল কিংবা কোনো পোষ্যপুত্র গ্রহণের ক্ষমতাপত্র হয়, তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে অথবা ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়া কোনো ব্যক্তিকে কোনো মূল্যবান জামানত সম্পাদনের অথবা হস্তান্তরের কিংবা এর ওপরে আসল, সুদ বা লভ্যাংশ গ্রহণের, কিংবা কোনো অর্থ, অস্থাবর সম্পত্তি বা মূল্যবান জামানত গ্রহণের বা প্রদানের ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে বলে প্রতিভাত হয়, অথবা তা এমন একটি দলিল বলে প্রতিভাত হয় যা অর্থ পরিশোধের পূর্ণপ্রাপ্ত রসিদ বা স্বীকৃতি রসিদ কিংবা অস্থাবর সম্পত্তি বা মূল্যবান জামানতের পূর্ণপ্রাপ্তি রসিদ বা হস্তান্তর রসিদ হয় এবং যদি তা জাল করা হয় তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে অথবা ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই সঙ্গে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

প্রতারণার জন্য জালিয়াতি প্রমাণ হলে সাত বছর কারাদণ্ড
১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি প্রতারণার উদ্দেশ্যে জাল দলিল ব্যবহার করে জালিয়াতি করেন, তবে তিনি সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই সঙ্গে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

জাল দলিলকে আসল হিসেবে ব্যবহার
১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি প্রতারণামূলকভাবে বা অসাধুভাবে এমন একটি দলিলকে আসল দলিল হিসেবে ব্যবহার করেন, যে দলিল জাল দলিল বলে তিনি জানেন বা তার বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে, তবে তিনি নিজে দলিলটি জাল করেছেন, এমনভাবে দণ্ডিত হবেন।

মানিলন্ডারিংয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ড
২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি মানিলন্ডারিং অপরাধ করলে বা মানিলন্ডারিংয়ের চেষ্টা, সহায়তা বা ষড়যন্ত্র করলে তিনি চার বছর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এর অতিরিক্ত অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুন মূল্যের সমপরিমাণ বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত (যেটা অধিক) অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

কোনো ব্যক্তি মানিলন্ডারিং অপরাধ করলে বা মানিলন্ডারিংয়ের চেষ্টা, সহায়তা বা ষড়যন্ত্র করলে তিনি চার বছর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এর অতিরিক্ত অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুন মূল্যের সমপরিমাণ বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

তবে শর্ত থাকে যে, আদালত কর্তৃক ধার্য করা সময়সীমার মধ্যে অর্থদণ্ড পরিশোধে ব্যর্থ হলে আদালত অপরিশোধিত অর্থদণ্ডের পরিমাণ বিবেচনায় অতিরিক্ত কারাদণ্ডের আদেশ দিতে পারবেন।

২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(৩) ধারায় বলা হয়েছে, আদালত কোনো অর্থদণ্ড বা দণ্ডের অতিরিক্ত হিসেবে দণ্ডিত ব্যক্তির সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিতে পারবেন। যদি তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানিলন্ডারিং বা কোনো সম্পৃক্ত অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৩০ মে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

আরও পড়ুন

২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার। দুদকের মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। চার্জশিটে নতুন এক আসামির নাম যুক্ত হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডসভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল।

গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ডসভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এমন ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

পরবর্তী সময়ে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ডসভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত এক কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নামে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি প্রতারণার উদ্দেশ্যে জাল দলিল ব্যবহার করে জালিয়াতি করেন, তবে তিনি সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই সঙ্গে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামানের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে মোট ৩ কোটি টাকা, সিবিএ নেতা মাইনুল ইসলামের হিসাবে ৩ কোটি ও সিবিএ নেতা ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ-বাংলা ব্যাংক মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।

একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়। এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠান। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই অনুসন্ধান শুরু হয়।

আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

এছাড়া অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জাগো নিউজকে বলেন, ড. ইউনূসসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এসব ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে চেষ্টা করবো আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড যেন হয়।

এ বিষয়ে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জাগো নিউজকে বলেন, ড.ইউনূসের বিরুদ্ধে যে ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তা আইনগতভাবে ঠিক হয়নি। আমরা অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।

জেএ/কেএসআর/এএসএম