ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

কৌশলে জাপান প্রবাসীকে দেশে এনে হত্যা: প্রতিবেদন ১১ জুলাই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৫৯ পিএম, ০৩ জুন ২০২৪

নরসিংদীর রায়পুরার আরিফুল ইসলাম এক বছর আগে জাপানে পাড়ি জমান। জাপানে গিয়ে সেখানকার আয়েশাকে (জাপানি নাম নাচুকি) ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন। তবে জাপানে যাওয়ার আগে ২০২১ সালে পারভীন আক্তার (৩৩) নামে এক কানাডাপ্রবাসীকে বিয়ে করেন। এতে পারভীন আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফুলের পরিবারকে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দিতেন।

গত ১৭ মে কৌশলে আরিফুলকে জাপান থেকে দেশে নিয়ে আসেন পারভীন। তারা ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মাটি প্রোপার্টিজ নামে ভবনের ফ্ল্যাটে ওঠেন। এরপর আরিফুলকে হত্যা করে কানাডায় চলে যান পারভীন আক্তার।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রোববার (২ জুন) রাজধানীর ভাটারা থানায় পারভীন আক্তার ও তার স্বামী নাজমুল হাসান বাবুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিহত আরিফুলের বোন সাফরিজা আক্তার রেলি। মামলার এজাহারে এসব কথা উল্লেখ করেন মামলার বাদী। এদিকে রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ১১ জুলাই দিন ধার্য করেন।

মামলার বাদী নিহত আরিফুল ইসলামের বোন সাফরিজা আক্তার রেলি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার ভাইকে জাপান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন পারভীন আক্তার। তার দেশে আসার কথা আমরা কেউ জানতাম না। ভাইকে কষ্ট দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার মরদেহ পচে গেছে। ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।’

আরও পড়ুন

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক এম এ জাহেদ জাগো নিউজকে বলেন, মামলার আসামি পারভীন হত্যাকাণ্ডের পর কানাডায় চলে গেছেন। মামলাটির বিষয়ে গুরুত্বসহকারে তদন্ত চলমান।

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ‘আমার ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম (২৭) জাপানপ্রবাসী ছিলেন। গত ৩১ মে ভাইয়ের স্ত্রী আয়েশা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান, আমার ভাই গত ১৭ মে জাপান থেকে বাংলাদেশে এসেছে। কিন্তু তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তখন ভাইয়ের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু ওই নম্বরে কোনো প্রকার কল ঢোকেনি।’

বাদী উল্লেখ করেন, ‘গত ১ জুন ভাটারা থানা পুলিশ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার চাচাতো ভাই মো. সবুজ মিয়াকে জানান আরিফুল ইসলামকে কে বা কারা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক-সির মাটি প্রোপার্টিজ ভবনের ভেতরে খুন করে রেখেছে। পরে চাচাতো ভাই মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসি। পুলিশের সহায়তায় ওই ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পাই ১৭ মে কানাডাপ্রবাসী বিবাদী পারভীন আক্তারসহ (৩৩) আমার ভাই আরিফুল ইসলাম ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন এবং পরের দিন পারভীন আক্তার একাই তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে যান।’

অভিযোগে বাদী আরও জানান, পারভীন আক্তার তার স্বামীকে রেখেই আরিফুল ইসলামের সঙ্গে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। পরে তিনি তার বর্তমান স্বামীর সঙ্গে কানাডা চলে যাওয়ার পর আরিফুল ইসলাম জাপানে গিয়ে আয়েশাকে বিয়ে করেন।

নিহতের বোন আরও জানান, বিবাদীর বর্তমান স্বামী নাজমুল হাসান বাবু (৩৩) আরিফুল ইসলামকে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন। মাটি প্রোপার্টিজের মালিক, ম্যানেজার, কর্মচারী, পারভীন আক্তার, তার স্বামী নাজমুল হাসান বাবু ও অজ্ঞাতনামা আত্মীয়-স্বজনরা আরিফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পারভীন আক্তারকে চিনতে পেরে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বোন।

জেএ/এসআইটি/এএসএম