হিরো আলমের ওপর হামলা: প্রতিবেদন ১৮ জুলাই
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (২ জুন) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম নতুন এ দিন ধার্য করেন।
২০২৩ সালের ১৮ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বনানী থানায় এ মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম এবং তার ব্যক্তিগত সহকারী পরান সরকারসহ প্রতিনিধি রাজীব খন্দকার, মো. রনি, মো. আল-আমিনসহ অনেকে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন।
আরও পড়ুন
এরই ধারাবাহিকতায় হিরো আলম এবং আমিনসহ প্রতিনিধিরা বিকেল সাড়ে ৩টায় বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরিদর্শনে যাই। প্রার্থীসহ আমরা পাঁচ-ছয়জন ওই কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জন বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকেন।
সেখানে বলা হয়, একপর্যায়ে বিবাদীরা হত্যার উদ্দেশে প্রার্থী হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি মারতে থাকেন। মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একজন হত্যার উদ্দেশে দুই হাতে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন এবং অন্য একজন তার তলপেটে লাথি মারলে হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যান।
এজাহারে আরও বলা হয়, তখন অন্য বিবাদীরা হিরো আলমকে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং টানাহেঁচড়া করেন। ওই সময়ে আমি এবং অন্যরা মিলে হিরো আলমকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তারা আমিন ও পরান সরকার, রাজীব খন্দকার, রনি ও আল-আমিনকে মারধর করে জখম করেন। এ সময় কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ এবং একতারা প্রতীকের সমর্থনকারীদের সহায়তায় হিরো আলমসহ আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।
জেএ/এমআরএম/জেআইএম