ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

প্রশ্নফাঁস

প্রাথমিকে তৃতীয় ধাপে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে বাধা নেই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক , নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:২৬ পিএম, ৩০ মে ২০২৪

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। এর ফলে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে আর কোনো বাধা নেই।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।

তবে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় হাইকোর্টের দেওয়া তদন্ত আদেশ চলবে। গোয়েন্দা সংস্থা ডিবির সঙ্গে সিআইডিকে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন আদালত।

জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম।

এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন, আপিল বিভাগ তাতে স্টে অর্ডার ভ্যাকেন্ট করে দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে আর বাধা নেই।

আরও পড়ুন

গত ২৯ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে পরীক্ষা হয়। দুই বিভাগের ৪১৪টি কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা হয়। এতে প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ।

এ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরে এ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া জুয়েল রতন দাসসহ ১৫ জন রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ মে) মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট।

পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের উত্তরপত্র ও ডিভাইসসহ মাদারীপুরে সাতজন ও রাজবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। দুই জেলায় আলাদাভাবে মামলা দায়ের করেন সংশ্লিষ্টরা। রাজবাড়ীতে আটক হওয়া পরীক্ষার্থী আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।

প্রশ্নফাঁসের পরও গত ২১ এপ্রিল রাতে ফল প্রকাশ হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এরপরই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন ১৫ পরীক্ষার্থী।

এফএইচ/এএএইচ/বিএ/এএসএম