ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ঢাকা বোট ক্লাবকাণ্ডে বিচারের মুখোমুখি পরীমণি-ব্যবসায়ী নাসির

জাহাঙ্গীর আলম | প্রকাশিত: ০৮:৪৯ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

বোট ক্লাবে পরীমণিকে মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ এবং তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ সাক্ষ্যগ্রহণ অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে ওই রাতের ঘটনায় পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদও আদালতে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে পরীমণি ও তার সহযোগী জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে ভাঙচুর, মারধর ও ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

নাসির উদ্দিনের দায়ের করা এজাহারে হত্যাচেষ্টার কথা উল্লেখ থাকলেও তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যাচেষ্টার বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি। দণ্ডবিধি আইনের ৩২৬ ও ৫০৬ ধারায় অভিযোগ এনে ১৮ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে এ মামলার দিন ধার্য ছিল। এদিন পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে বাদীপক্ষ। চার্জশিট গ্রহণ করে ২৫ জুন পরীমণিকে আদালতে উপস্থিত হতে সমন জারি করেন আদালত।

ফলে বোট ক্লাবকাণ্ডে পরীমণি ও ব্যবসায়ী নাসির দুজনই এখন বিচারের মুখামুখি হচ্ছেন। পরীমণির মামলায় ব্যবসায়ী নাসির ও নাসিরের মামলায় পরীমণি বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে যাচ্ছেন।

নাসির উদ্দিনের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল জাগো নিউজকে বলেন, বোট ক্লাবকাণ্ডে পরীমণি ব্যবসায়ী নাসিরের নামে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তে পরীমণির শ্লীলতাহানির প্রমাণ পাওয়া যায়। অন্যদিকে সেখানে ব্যবসায়ী নাসিরকে মারধর ও ভীতি প্রদর্শন এবং ভাঙচুরের অভিযোগের সত্যতা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। ওই রাতের দুই ঘটনার বিচার দুইভাবে চলবে। এতে বিচারে কোনো সাংঘর্ষিক অবস্থা হবে না।

অন্যদিকে পরীমণির আইনজীবী নীলঞ্জনা সুরভী রিফাত জাগো নিউজকে বলেন, পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় প্রতিবেদন দাখিল করে পিআইবি। আমরা এখনো প্রতিবেদন হাতে পাইনি। আগামী ২৫ জুন পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে। সেদিন আমরা প্রতিবেদন হাতে পাবো। এরপর আইনগত সিদ্ধান্ত নেবো।

আরও পড়ুন

২০২২ সালের ৬ জুলাই ঢাকার আদালতে সাভার বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা করেন। ২০২১ সালের ৯ জুন দিনগত রাতে সাভারের বোট ক্লাবকাণ্ডে এ মামলা করা হয়। তবে এর আগে ওই রাতে পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে পাঁচদিন পর ১৪ জুন নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে সাভার থানায় একটি মামলা করেন পরীমণি। এতে চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করেন তিনি। পরীমণির করা মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।

তবে এরই মধ্যে ওই রাতের ঘটনায় পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পিবিআই। এতে পরীমণি ও তার সহযোগী জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে ভাঙচুর, মারধর ও ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

ঢাকাবোট ক্লাবকাণ্ডে বিচারের মুখোমুখি পরীমণি-ব্যবসায়ী নাসির

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এ মামলার ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকী অমির সঙ্গে জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের পূর্বপরিচয়ের সুবাদে মাঝে মধ্যে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ হতো এবং একে অপরের বাসায় যাতায়াত ছিল। ২০২১ সালের ৮ জুন তুহিন সিদ্দিকী অমি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বনানী কিংস বেকারি শপে অবস্থানকালে পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিম তাকে মেসেঞ্জারে কল করে বনানীর বাসায় যেতে অনুরোধ করেন। বাসায় যাওয়ার পর অমির সঙ্গে পরীমণি এবং ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির সাক্ষাৎ হয়।

এরপর তারা অমির কাছে জানতে চান, এত রাতে উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে কি না? উত্তরে অমি জানান, রাত বেশি হচ্ছে তাই এখন উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে না। তখন জিমি জানতে চান, তাহলে বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে কি না? জবাবে ঢাকা বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে মর্মে জানান অমি। তখন পরীমণির অনুরোধে অমিসহ তারা চারজন অমির কালো রঙের জিপে রাত ১২টা ২২ মিনিটে ঢাকা বোট ক্লাবে আসেন। গাড়ির পেছনে পরীমণির সাদা রঙের খালি জিপ গাড়ি বোট ক্লাবে প্রবেশ করে।

আরও পড়ুন

ক্লাবের দোতলায় উঠে প্রথমে পরীমণি ও ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি বারের সামনে থাকা টয়লেট ব্যবহার শেষে বারের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং টিভির সামনের টেবিলে বসেন। টেবিলে সাক্ষী অমিও বসেন। সৌজন্যতার খাতিরে অমি তাদের স্ন্যাক্সজাতীয় খাবার নিজ খরচে পরিবেশন করে আপ্যায়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরীমণি একটি এক লিটারের ব্লু-লেবেল মদের বোতল অর্ডার করেন। পরীমণি ও তার সঙ্গে থাকা জিম ও বনি নিমিষেই সেই বোতলের অ্যালকোহল পান করে বোতল খালি করেন এবং অনুরূপ আরেকটি বোতলের অর্ডার করেন। তারা সে বোতলের আংশিক মদ পান করেন।

আড্ডার একপর্যায়ে তাদের ২-৩ টেবিল পেছনে বোট ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাছির উদ্দিন মাহমুদকে আরও দুজন ব্যক্তির সঙ্গে বসা দেখতে পান অমি। তখন অমি পরীমণিকে নিয়ে নাসির উদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং পুনরায় তাদের টেবিলে এসে বসে মদপানসহ গল্পগুজব করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর নাসির ও তার সঙ্গে থাকা আরও দুজন যখন বার থেকে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পরীমণি নাসিরকে ডেকে বলেন, ভাই আমি এলাম, আর আপনি চলে যাচ্ছেন? আমাদের সঙ্গে আরেকটু বসেন। আসেন কিছুক্ষণ গল্প করি।

তখন পরীমণির অনুরোধে নাসির ফিরে এসে পুনরায় তার টেবিলে বসেন। কিছুক্ষণ পর ড্রিংকস শেষে পরীমণি ওয়েটারকে আরও এক লিটারের তিনটি ব্লু লেবেল বোতলসহ দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দেওয়ার জন্য অর্ডার করেন। ওয়েটার তখন পরীমণিকে দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দিলেও ব্লু লেবেল মদের বোতল স্টকে না থাকায় পার্সেল দিতে পারেননি।

তখন পরীমণি ডিসপ্লেতে থাকা একটি ব্লু লেবেল বোতল পার্সেল করে দিতে বললে ওয়েটার জানান, বোতলটি বিক্রির জন্য নয় এবং ক্লাবের মেম্বার ছাড়া পার্সেল দেওয়া যাবে না। কিন্তু পরীমণি জোর করে ওই বোতল নিতে চান এবং টেবিলে হট্টগোল করতে থাকেন। পরীমণি উত্তেজিত হয়ে কার্ডহোল্ডার বের করে দু-তিনটি ব্যাংক কার্ড দেখিয়ে বলেন, আমি কি ফকিরনি? আমার বিল আমি পরিশোধ করবো। আমি এটা নেবোই।

তখন পরীমণির সঙ্গে থাকা ফাতেমা বনি বলেন, ওনাদের যদি রুলস থাকে, মেম্বার ছাড়া নেওয়া যাবে না, তাহলে তুমি নিও না।

ঢাকাবোট ক্লাবকাণ্ডে বিচারের মুখোমুখি পরীমণি-ব্যবসায়ী নাসির
ঢাকা বোট ক্লাব

তখন পরীমণি বনিকে থাপ্পড় মেরে বলেন, আমাকে দেখে কি মাতাল মনে হয়?

পরীমণির সঙ্গে থাকা জিমি তাকে শান্ত করতে গেলে তাকেও পরীমণি থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পরীমণি খুবই উত্তেজিত হয়ে টেবিলের ওপর থাকা গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ফ্লোরে এদিক ওদিক ছুড়তে থাকেন। তখন নাসির ক্লাবের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পরীমণিকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এতে পরীমণি আরও ক্ষেপে গিয়ে একটি অ্যাশট্রে নিয়ে তার দিকে ছুড়ে মারেন, যা তার ডান কানের ওপরে মাথায় লাগে। তখন নাসির ক্লাবে পরীমণিকে সঙ্গে করে আনায় অমির ওপর রেগে যান এবং বলেন, এরকম বেয়াদব মহিলা নিয়ে কেন ক্লাবে আসেন, কাল আপনার নামে নোটিশ হবে। এক্ষুণি এদের নিয়ে বেরিয়ে যান।

তখন জিম তেড়ে এসে বাদী নাসিরকে গালমন্দ করতে করতে ২-৩টি কিলঘুসি মারেন। এরপর আবারও পরীমণি বারের ভেতরে যত্রতত্র গ্লাস ছুড়ে ভাঙচুর করতে থাকেন। একটি গ্লাস নাসির মাহমুদের বুকে লাগলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। তখন নাসির বোট ক্লাব ত্যাগ করে চলে যান। ক্লাব ত্যাগ করার মুহূর্তে পরীমণিকে ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে বলার জন্য ক্লাবের নিচে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ডকে নির্দেশ দিয়ে যান। নাসির আহত অবস্থায় সে রাতে আড়াইটার দিকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

বার ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য সিকিউরিটি গার্ড পরীমণিকে বারবার বললেও তারা যেতে চাননি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সিকিউরিটি গার্ড বারের লাইট ও এসি কমিয়ে দেয়। তারপরও পরীমণি যেতে না চাইলে অমি তাকে বার থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং পরীমণির সঙ্গে থাকা জিম ও সিকিউরিটি গার্ড তাকে ধরে গাড়িতে তুলে দেয়। ক্লাবে তাদের খাওয়া দুই বোতল ব্লু লেবেলের দাম ও পার্সেলে নেওয়া দুই বোতল ওয়াইনের দাম পরিশোধ না করেই তারা ক্লাব থেকে চলে যায়। চারটি বোতলের দাম ৮৭ হাজার ৬৫০ টাকা। এছাড়া ক্লাবের বারের ভেতরে গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ভাঙচুর করায় আনুমানিক ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।

বোট ক্লাবের ওই রাতের ঘটনার পর পরীমণি তার নিজ ফেসবুক পেজে তাকে হত্যা ও ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমণি সাভার থানায় মামলা করেন।

ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এরপর ২০২২ সালের ১৮ মে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের সময় নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন নাসিরসহ অন্য আসামি। বর্তমানে মামলাটির বাদী পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

এদিকে পরীমণি যে মামলা করেছেন তার এজাহারে বলা হয়, অমির কথা মতো আমরা সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করাই। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেন। অমি ক্লাবের ভেতরে গিয়ে বলেন এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পারো।

এজাহারে আরও বলা হয়, তখন আমার ছোট বোন বনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করেন ও বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করেন। টয়লেট থেকে বের হতেই এক নম্বর বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন ও কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন।

‘আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আসামি মদপানের জন্য জোর করেন। আমি মদপান করতে না চাইলে এক নম্বর আসামি জোর করে আমার মুখে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আমি সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই।’

‘এক নম্বর আসামি (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন এবং আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি উত্তেজিত হয়ে টেবিলে থাকা গ্লাস ও মদের বোতল ভাঙচুর করে আমার গায়ে ছুড়ে মারেন। তখন কস্টিউম ডিজাইনার জিমি নাসির উদ্দিন মাহমুদকে বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে জখম করেন।’

এজাহারে পরীমণি আরও বলেন, আমি প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে ফোন দিতে গেলে আমার ফোনটি কেড়ে নিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এসময় দুই নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাতনামা চারজন এক নম্বর আসামিকে ঘটনা ঘটাতে সহযোগিতা করেন। আমি অজ্ঞাতনামা আসামিদের দেখলে শনাক্ত করতে পারবো।

জেএ/এমএইচআর/জেআইএম