ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

জি কে শামীমের জামিন ৬ মাস স্থগিত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৩৬ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২৪

অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের জামিন ৬ মাস স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই ৬ মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে মামলা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী।

আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন তিনি নিজে।

এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখে ২ মাসের মধ্যে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে মামলাটি নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন। সে সময় আপিল বিভাগ বলেন, যারা ব্যক্তিগতভাবে অস্ত্র ও গানম্যান নিয়ে চলাফেরা করেন তাদের বিষয়ে নীতিমালা করা উচিৎ। এর আগে হাইকোর্ট ১৩ ডিসেম্বর জি কে শামীমকে ৬ মাসের জামিন দেন। পরে চেম্বার জজ আদালত গত ১৯ ডিসেম্বর স্থগিত করে দেন।

এর আগে অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত জি কে শামীমের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পরে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র্যাব। ওই সময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুই মামলায় তার সাজা হয়েছে।

২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম। জি কে শামীমের দেহরক্ষীরা হলেন-মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।

এছাড়াও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আদালত। তার সাত দেহরক্ষীরও চার বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের সম্মিলিতভাবে তিন কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

এফএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস